তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

দুদকের মামলায় এই আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2023, 03:31 PM
Updated : 5 Jan 2023, 03:31 PM

দুদকের এক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের নাগাল না পাওয়ায় তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

আদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুজনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশের পাশাপাশি ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসিকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ২০০৮ সালে কারামুক্তির পর স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। তারা এখন সেখানেই থাকেন।

জোবায়দা চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে ছিলেন। ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে তাকে বরখাস্ত করে সরকার।

বিদেশে থেকেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তারেক, তার মা খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর মধ্যেই চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজার রায় এসেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে অগাস্টের গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন তারেক।

Also Read: তারেক-জোবাইদার রিট খারিজ, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

Also Read: তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে আরও এক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

দুদকের এই মামলাটি হয় সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে, তখন তারেক গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। মামলায় তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এ মামলার বৈধতার প্রশ্নে তিনটি রিট আবেদন করেছিলেন আসামিরা, হাই কোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলও দিয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর সেই রুলের উপর শুনানি করে গত ২৬ জুন তা খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।

সেই সাথে এ মামলার নথিপত্র ঢাকার মহানগর বিশেষ জজ আদালতে পাঠাতে এবং জজ আদালতে দ্রুত এ এ মামলার নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। পাশাপাশি তারেক-জোবাইদাকে ‘পলাতক’ বিবেচনা করে, তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী এ মামলা পরিচালনা করতে পারবে না বলে হাই কোর্টের রায়ে জানানো হয়।

ওই আদেশের ফলে দীর্ঘ ১৪ বছর পর মামলাটি বিচারের পথ খোলে। এরপর গত ১ নভেম্বর তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার আদালত। তা তামিলের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।

সে অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দাখিল করা প্রতিবেদনে পুলিশ জানায়, নিজ নিজ ঠিকানায় আসামিদের পাওয়া যায়নি। এরপর আদালত তাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

এই ক্রোকি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।