ইউনূস-মোদী বৈঠক যে খুব ফলপ্রসূ হয়নি, তা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করল ভারত।
Published : 09 Apr 2025, 06:56 PM
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যাংককে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) সম্মেলন শেষে যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন– এটা নতুন কোনো খবর নয়। সম্মেলন শেষে ৪০মিনিটের এই বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন এবং দুই দেশের কর্মকর্তারা এই বৈঠকে আলোচিত বিষয়বগুলো প্রকাশও করেছেন। যেহেতু বৈঠক শেষে দুই নেতা যৌথ বা এককভাবে কোনো সংবাদ সম্মেলন করেননি, আমাদেরকে সরকারি কর্মকর্তাদের ভাষ্যে এই বৈঠককে মূল্যায়ন করতে হবে।
আলোচনার প্রাধান্য ও শারীরিক ভাষা
এই দুই নেতার বৈঠকে আমরা কিছু কিছু জিনিস লক্ষ্য করতে পারি, যেমন শারীরিক ভাষা ও কোন নেতা কোন কথাগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। শুক্রবার বৈঠকের আগে তারা দুজনে হাত মিলিয়ে একে অপরকে স্বাগত জানিয়েছেন, কথা শুরু করার আগে বসে ছবি তুলেছেন। তার আগের দিন বিমসটেক নেতাদের নৈশভোজে তারা দুজন পাশাপাশি বসেছিলেন। এই সব ছবি সংবাদপত্রে ও টিভিতে এসেছে। কূটনীতিতে 'বডি ল্যাঙ্গুয়েজে' বা শারীরিক ভাষাকে অনেক সময় মুখের ভাষার চেয়েও বড় করে দেখা হয়। মোদী ও ইউনূস দুজনই অনেক বছর ধরে বিশ্বমঞ্চে নানান দেশের নেতাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও আলাপ-আলোচনায় আলো ছড়িয়েছেন। কিন্তু এবার তাদের দুজনের শারীরিক ভাষাকে আমার কাছে খুব উষ্ণ মনে হয়নি, এমনটা আমার একার কাছে মনে হয়েছে তা নয়, আরও অনেকেই বলেছেন এই কথা।
বৈঠক শেষে প্রথম দিকেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে যে খবর আসে তাহলো, বৈঠকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছেন ড. ইউনূস। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে শেখ হাসিনা বিভিন্ন মাধ্যমে ‘যে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে আসছেন’, সেটা বন্ধ করতে অনুরোধও করেছেন তিনি। অপরদিকে, ভারতীয় পত্রিকাগুলোতে যে সংবাদকে সর্বপ্রথম প্রধান্য দেয়া হয় তা হলো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে। ভারতের ইংরেজি সংবাদপত্র 'দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া' এই দুই নেতার আলোচনার ভিন্ন দুটি প্রাধান্য বিষয়কে একই শিরোনামে এভাবে প্রকাশ করেছে– ‘সংখালঘুদেরকে নিরাপত্তা দিন’: মোদী, ‘হাসিনাকে সামলান’: ইউনূস। আলোচনার অন্যান্য বিষয়গুলোও ক্রমান্বয়ে প্রকাশ পায়। সমস্ত আলোচনাটা পুরাপুরি পর্যালোচনা করলে মনে হবে, মোদী ও ইউনূস– দুই নেতাই নিজ নিজ দেশের সমর্থক ও জনগোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন এবং সঙ্গে কিছু কিছু সতর্কবাণীও উচ্চারণ করেছেন।
আলোচনার বিষয়বস্তু
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ‘একটা গঠনমূলক, বস্তুনিষ্ঠ এবং ফলপ্রসূ’ বৈঠক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। মুহাম্মদ ইউনূস সীমান্ত হত্যা, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির নবায়ন, তিস্তা চুক্তি সইসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছেন, এ তথ্য দিয়েছেন প্রেস সচিব। তিনি আরো বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস আলোচনা উত্থাপন করলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না। এই ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী বলেছেন, “তারা শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবার কথা বলেছেন, কিন্তু এই ব্যাপারে আমাদের এখন ‘অতিরিক্ত কিছু বলার নেই।” বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন , “দেখুন, বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে, এটা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু হয় নাই। আমি এটুকুই বলব।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন' বলে বললেন মিশ্রী । মিশ্রী আরো বলেন, ভারতীয় নেতা ‘বাস্তববাদের চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্কের’ জন্য নয়াদিল্লির আকাঙ্ক্ষার ওপরও জোর দিয়েছেন।
এইসব বিষয়গুলোকে পর্যালোচনা করলে মনে হবে, তাদের দুজনের যা বলার তারা তা শুধু বলে গেছেন। কিন্তু এইসব ব্যাপারগুলো সুরাহা করার ব্যাপারে কোনো ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ বা কার্যক্রম গ্রহণ করেননি।
দূরত্ব রয়েই গেল
৪০ মিনিট খুব বেশি সময় নয়, তবে এতে জমে যাওয়া বরফ গলতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ইউনূস-মোদী বৈঠক যে খুব ফলপ্রসূ হয়নি, তা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করল ভারত।
ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) মঙ্গলবার এক সার্কুলারে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ওই সার্কুলারে ২০২০ সালের ২৯ জুনের একটি সার্কুলার ‘অবিলম্বে’ বাতিল করার কথা বলা হয়েছে। পুরনো ওই সার্কুলারে বলা ছিল, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্য কনটেইনার বা কভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে তৃতীয় দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারতের স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে দেশটির অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর পর্যন্ত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পাবে।
ইনডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ অঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ‘চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সমর্থনের অভিপ্রায়’ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এই সিদ্ধান্ত নিল।
অথচ বিমসটেক সম্মেলনের ৪০ মিনিটের মধ্যে তারা কথা বলে একটা রোডম্যাপ করতে পারতেন কিভাবে সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়া যায় এবং কিভাবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অব্যাহত করা যায়। এই আলোচনায় তা হয়নি। সরকার প্রধানদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে একজন অন্যজনকে নিজ দেশে সফরে আসার আমন্ত্রণ জানানোর একটা রীতি আছে। সেই জিনিসটাও তারা এড়িয়ে গেছেন।
হয়তো দুই পক্ষেরই কিছু কিছু কারণ রয়েছে এই আগ্রহহীনতার। বিশ্লেষকরা এই কারণগুলো খুঁজে বের করতে পারেন। ড. ইউনূস পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে এবং চীনকে নতুন সম্পর্ক গড়তে আমন্ত্রণ জানিয়ে বুঝাতে চাচ্ছেন যে, বাংলাশের জন্য ভারত আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকারকে প্রথম থেকেই উপেক্ষা করে যাচ্ছেন। তিনি হাসিনাকে মাঝেমধ্যে কথা বলার সুযোগ দিয়ে হয়তো বুঝতে চাচ্ছেন তার হাতেও কিছু রাজনৈতিক অস্ত্র আছে।
ড. ইউনূস সরকারের প্রভাবশালী একটা গ্রুপ সম্ভবত ভারতের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় না। অপরদিকে ভারত সরকার মনে করতে পারে বাংলাদেশ যে অস্থির সময় পার করছে, তাতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সম্পর্ক খুব এগিয়ে নেয়া যাবে না। দূরত্ব বজায় রাখাটা দুই দেশের বর্তমান বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন । তাই কেউ যদি বলে, এই বৈঠকে সম্পর্ক তেমন কিছু এগোয়নি, তা সম্ভবত মিথ্যা বলা হবে না।
ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান হার্শ পান্থ আল জাজিরাকে বলেছেন, “আমার মতে এই সময়টাতে শুধু সম্পর্কটা চালিয়ে নেয়াই হলো বেশি জরুরি।”
এই অঞ্চলের একমাত্র সমুদ্রের অভিভাবক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তার চীন সফরকালে বলেছিলেন, “ভারতের সাতটি রাজ্য, ভারতের পূর্ব অংশ, যাদেরকে সাত বোন বলা হয়... তারা স্থলবেষ্টিত, ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনও উপায় নেই।” তিনি আরো বলেছিলেন যে উত্তর-পূর্ব ভারত ‘স্থলবেষ্টিত’ থাকায় ঢাকা ‘এই অঞ্চলের একমাত্র সমুদ্রের অভিভাবক’।
ভারত ড. ইউনূসের মন্তব্যের কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই নিয়ে খুব সমালোচনা করেছে। তবে অবশেষে সরকারি প্রতিক্রিয়াও মিলল বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের মধ্য দিয়ে।
যদিও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় স্থলবেষ্টিত অঞ্চলগুলোর 'সমুদ্র-সমস্যা' নিয়ে অনেক 'থিঙ্ক ট্যাঙ্ক' ও আন্তর্জাতিক ফোরামে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু চীনের মাটিতে এই নিয়ে আলোচনা ভারত যে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি, তা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মোদীর বৈঠকে স্পষ্ট বুঝতে পারা গেছে। চীনকে নিয়ে ভারতের এমনিতেই 'এলার্জি' আছে।
ইউনূসের বক্ত্যব্যের উল্লেখ না করেও, মোদী বলেছেন যে, “পরিবেশকে দূষিত করে এমন যেকোনো বক্তব্য এড়িয়ে চলাই ভালো।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি উভয় দেশকেই সাহায্য করবে। তবে ভারতও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছুতা ধরে অনেক বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছে বিশেষ করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে । তাদেরকে পরিবেশ সুস্থ রাখতে এইসব পরিহার করতে হবে।
ভবিষ্যৎ ভাবনা
মোদীর ‘গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ’ এই একটা উক্তির মধ্যেই অনেকগুলো উক্তি অনুক্ত রয়ে গেছে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্থিতিশীল সরকার গঠনের আগে তারা যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে বেশিদূর আগাতে চায় না তা স্পষ্ট। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক দেশের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে, এটা কোনো দলের সঙ্গে নয়– এটা উনি স্পষ্ট করেছেন। এটা আমি এটাকে একটা ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসাবেই দেখতে চাই।”
‘অন্তর্ভুক্তিমূলক' নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশেও কম আলোচনা হচ্ছে না, মোদীও কি তার সঙ্গে গলা মিলালেন? মোদীর 'প্রগতিশীল' উচ্চারণকেও অনেকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। বাংলাদেশে উগ্রবাদের প্রসার নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, মোদী কি সেই দিকে ইশারা করেছেন? মোদীর নিজের দলই ভারতে তীব্র উগ্রবাদ ও সম্প্রদাযিকতা ছড়াচ্ছে। মোদীর দলকে কোনোক্রমেই প্রগতিশীল বলা যাবে না। তাদেরকেও ভাবতে হবে, কারণ তাদের উগ্রবাদী নীতির জন্য বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠী তাদের ওপর ক্ষুব্ধ।
নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে যেই ক্ষমতা আসুক না কেন তাদেরকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ভাবতে হবে। বিএনপি আগেও ক্ষমতায় ছিল, তাদের নীতি ছিল ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। হাসিনার পতনের পরবর্তী সময়ে তারা ভারতের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করে, কেউ কেউ বলবেন ভারতই শুরু করেছিল এবং বিএনপি তাকে স্বাগত জানিয়েছিল । কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতারা যখন তুমুল ভারতবিরোধী অবস্থান নেয়, বিএনপিও ভারতের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত রাখে। তারা বাংলাদেশের 'ভারতপন্থী' দলের ট্যাগে পড়তে চায় না । ক্ষমতায় গেলে তারা দল নয়, হয়তো সরকারিভাবে আলোচনা শুরু করবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবশ্য ইউনূস-মোদী বৈঠক নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তার মতে, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের মধ্যে যে একটা তিক্ততা তৈরি হয়েছে, এটা যেন কমে আসে, সে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে বৈদেশিক নীতিতে নবগঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি সম্ভবত ড. ইউনূসের দেখানো পথেই চলবে।
তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান যাই হোক না কেন, একটা সময়ে এই টানাপোড়েন বন্ধ হয়ে একটা স্থিতিশীল অবস্থা ফিরে আসবে। এই দুই দেশের মধ্যে এতসব বিষয়ে যে পারস্পরিক নির্ভরতা রয়েছে, তা অনির্দিষ্টকালের জন্য এড়ানো যাবে না।