গ্রামীণ মেলার চিরায়ত যে আবহ, সেখানটায় বেশ পরিবর্তন এলেও ঐতিহ্যের পরম্পরা থেকে নিজস্ব ঐশ্বর্যের প্রমাণ এই সময়েও মেলাগুলোতে পাওয়া যায়।
Published : 13 Apr 2025, 03:13 PM
সিন্দুরমতি মেলা থেকে এক রাশ হতাশা নিয়ে ফিরেছি। ফেরার পথে বারবার মনে হয়েছে, ‘আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম’? শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত মেলাটিতে বহুদিন পর আবার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল এবার। ঈদের পরপরই ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের রাম নবমী তিথির বিভিন্ন পূজা-পার্বণ। হয়েছে পূণ্য স্নানোৎসব এবং মেলাও। রামনবমীর এমনই একটি প্রাচীন পার্বণ উত্তর জনপদের লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রামের সিন্দুরমতি মেলা। প্রতি বছর চৈত্র মাসের রাম নবমী তিথিতে সিন্দুরমতি পুকুর পাড়ে বিরাট মেলা বসে। পুণ্যস্নান ও অন্যান্য পূজা অর্চনায় মেতে ওঠে হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা।
এই মেলায় রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম– এই তিন জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম হয়। তবে এই তিন জেলাতেই সীমাবদ্ধ নয় সিন্দুরমতির আবেদন। বরং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তো বটেই ভারত থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হিন্দু পূণ্যার্থীর আগমন ঘটে। শুধু যে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ উপস্থিত হন এমনটা নয়, মেলার আনন্দ উদ্যাপনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরও আগমন ঘটে এখানে। এই মেলাকে ঘিরে মানুষের আনন্দ ও উদ্দীপনা বেশ পুরোনো, বলা হয়ে থাকে অবিভক্ত বাংলার সময় পর্ব থেকেই এই মেলাটি হয়ে আসছে।
শৈশব-কৈশোরে এই মেলার যে চিত্র দেখেছি, সেই স্মৃতির সঙ্গে এবারের মেলায় বিস্তর তফাৎ দেখতে পেলাম। চিরায়ত ভিড়ভাট্টায় জনসমাগমে জনারণ্য হয়ে ওঠার দৃশ্য না থাকায় এবারের মেলা প্রাঙ্গণ কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল। সিন্দুরমতি মেলায় যাওয়ার আগে কুড়িগ্রামের চিলমারীর মহাঅষ্টমী এবং রংপুরের কাউনিয়ার মানাস নদী পাড়ের পূণ্যস্নান মেলাতেও যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল এবার।
পরপর তিনটি মেলা ঘুরে দেখলাম এবার দূর দূরান্ত থেকে পূণ্যার্থীদের আগমন তেমন ঘটেনি। জুলাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে, লোকসমাগমের ঘাটতি তার কারণ হতে পারে। সিন্দুরমতি ও চিলমারীর মেলায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সেনা সদস্যসহ পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্দেহভাজনদের তল্লাশির জন্য মেলা প্রাঙ্গণে ভ্রাম্যমাণ আদালতকেও সক্রিয় দেখা গিয়েছে। তারা ছিলেন বলেই মেলার নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটেনি বলে অনুমান করছি। নিরাপদে মেলা উদ্যাপনের এমন দৃশ্য কারো কারো জন্য আস্থার হলেও অস্বস্তিকর প্রতিক্রিয়াই ছিল বেশি। নির্বিঘ্নে মেলা কিংবা উৎসব উদ্যাপিত হলেও, উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ নিয়ে এভাবে উৎসব আদতে কতটুকু উদ্যাপনে পরিগণিত হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবুও বলা যায়, একুশ শতকের অস্থিতিশীল, যান্ত্রিক ও নগরমুখী দম ফেলার ফুরসৎহীন জটিল জীবন এবং নগরায়নে প্রভাবিত গ্রামীণ সমাজের আবেগ অনুভূতির আবেদন খানিকটা কমলেও, এখনও তা নিঃশেষ হয়ে যায়নি।
গ্রামীণ মেলার চিরায়ত যে আবহ, সেখানটায় বেশ পরিবর্তন এলেও ঐতিহ্যের পরম্পরা থেকে নিজস্ব ঐশ্বর্যের প্রমাণ এই সময়েও মেলাগুলোতে পাওয়া যায়। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের পূণ্য স্নানোৎসব থেকে সিন্দুরমতিসহ এই অঞ্চলের বৃহৎ মেলাগুলোয় এখনও লোকজ সংস্কৃতির শেষাংশের দেখা মেলে। মেলায় মৃৎ শিল্প, হস্তশিল্পসহ কাঠ ও বেত শিল্পের দেখা পাওয়া যায় কিছুটা। তথ্যপ্রযুক্তি ও কলকারখানার এই যুগে একেবারে হারিয়ে যেতে বসা গ্রামীণ কিছু পেশার মানুষের সন্ধানও মেলে। মুখরোচক বিভিন্ন খাবারসহ গৃহস্থালি ও কৃষিকাজের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পসরা চোখ পড়ে। রসগোল্লা, চমচম, জিলাপি, দৈ, খৈ, মুড়ি, মুড়কি, বাতাসা, চিড়াসহ নানা রকম মুখোরচক খাদ্যপণ্যের স্বাদ মানুষকে শেকড়ের কাছে পৌঁছে দেয়। আধুনিক পণ্যসামগ্রীর ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসা সাংসারিক পণ্য– উরুন-গাইন, কামারের তৈরি কাস্তে, খন্তা, হাতুড়ি, বঁটিসহ দৈনন্দিন জীবনের টুকিটাকি গ্রামীণ নানান তৈজসপত্র, পূজার উপকরণ, নারীর প্রসাধনী, গৃহসহায়ক ও সাজসজ্জার সামগ্রী, মনোহর সামগ্রী, কৃষি সরঞ্জাম পাওয়া যায় গ্রামীণ এসব পালা-পার্বণের মেলায়।
এক সময় আমাদের দেখা সিন্দুরমতিসহ অন্যান্য মেলার মূল আকর্ষণ ছিল যাত্রাপালা, নাটক ও সার্কাস। গ্রামীণ সংস্কৃতির দীর্ঘ ইতিহাসে লোকমানুষের সুস্থ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল নানা রকম যাত্রাপালা, নাটক, বায়োস্কোপ, সার্কাস ও জাদুখেলা। গত কয়েক বছর থেকে অশ্লীলতার অভিযোগে সারাদেশেই মেলাসহ অন্যান্য অনেক উৎসবে যাত্রাপালা ও নাটক মঞ্চায়ন বন্ধ। বন্ধ হয়েছে সার্কাস এবং জাদুখেলার প্রদর্শনীও। অশ্লীলতার দোষ কাটিয়ে সুস্থ সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় এসবের পুনর্জাগরণ প্রয়োজন। মাথাব্যথা বলে মাথাটাকেই কেটে ফেলা যায় না, ব্যথা নাশের জন্য ওষুধের দরকার হয়। তেমনি ‘অশ্লীলতা’র অভিযোগ তুলে সংস্কৃতির প্রাচীনতম এসব নিদর্শন নিষিদ্ধ করাও সমাধানের পথ নয়। সংকট নিরসনে সুস্থধারার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা সময়ের দাবি। এক সময়ের মানবিক, প্রেমময় গল্প, দৈনন্দিন দরিদ্র জীবনের আখ্যান, ইতিহাস আশ্রিত যাত্রাপালা ও নাটকের পুনর্মঞ্চায়ন আবশ্যক। সেই সঙ্গে সামাজিকতায় দায়বদ্ধ মনোমুগ্ধ বিস্ময়কর সার্কাস ও জাদুর পুনপ্রদর্শন আমাদের হারানো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে পারে। সাংস্কৃতিক দায় থেকেই বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশ বিনির্মাণে এদিকে আমাদের মনোনিবেশ করা জরুরি।
আমাদের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়— মেলা, পালা, পার্বণে মুখরিত সাংস্কৃতিক ইতিহাসের দেশ বাংলাদেশ। বাঙালি সংস্কৃতির আঁচলজুড়ে রয়েছে মা-মাটির ঐশ্বর্য। আমরা এই ঐশ্বর্য পেয়েছিলাম নদীমাতৃক কৃষি সভ্যতার কাছ থেকে। আমাদের সভ্যতা গড়ে তুলেছিল নদী আর সংস্কৃতিকে গড়ে তুলেছিল নদী বিস্তৃত অববাহিকার পলিমিশ্রিত ফসলি জমিন; আমাদের কৃষি। কৃষি সভ্যতা ও সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে গিয়ে যেভাবে আমরা দিনকে দিন নগর সভ্যতা ও সংস্কৃতির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি, তা অদূর ভবিষ্যতের জন্য চিন্তার বিষয়। নগরের কংক্রিটময় জীবন ও জীবিকার ভেতরে যে কৃত্রিম সংস্কৃতির উত্থান ঘটেছে, তাতে কাদামাটি মাখা দেশীয় মননকাঠামোর কোমলতার ঘাটতি রয়েছে। বিচ্ছিন্নতা রয়েছে চিরায়ত বাংলার মা-মাটি মানুষের শেকড় থেকেও। শিক্ষিত হওয়ার নাম করে আমরা যেভাবে ঔপনিবেশিক সংস্কৃতির ডামাডোলে বাবুয়ানি সাংস্কৃতিক বয়ান ঝাড়ছি, তাতে নিজস্ব পরিচয় ও আত্মমর্যাদার প্রশ্ন ওঠা অমূলক নয়। একই সঙ্গে শহরের চার দেয়ালের ভেতরে লোকজ সংস্কৃতির লোক দেখানো প্রদর্শনীতেও খানিকটা তাচ্ছিল্য থেকে যায় বলেই বোধ করি। নিজের সংস্কৃতিকে আত্মীকরণ করতে না পারলে, তা নিয়ে গর্ব করা যায় না। ‘আমার’ বলে দাবিটাও দৃঢ় হয় না।
আমরা আমাদের আপন ভুবনের কৃষ্টি-কালচার ভুলে যেতে পারি না। যদি এমনটা ঘটে, তাহলে তা আমাদের জাতিড়ত আত্মহত্যার ইতিহাস হিসেবেই লিপিবদ্ধ হবে। এতে করে আকাশ সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাবে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে এবং সমাজ-সংস্কৃতিকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। ইতোমধ্যে এর বেশ কিছু আলামত আমরা লক্ষ্য করছি। আমাদের ইতিহাসের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় যে সহজিয়া ও সহনশীল ধর্ম প্রবাহ ছিল, তাতে বেশ কিছুটা ভাটা পড়েছে। ‘ধর্ম’ সংস্কৃতির অংশ হলেও ইদানিং ‘সংস্কৃতি’ থেকে ‘ধর্ম’কে আলাদা করে দেখানোর এক ধরনের প্রচারণা শুরু হয়েছে। চেষ্টা চলছে ‘ধর্ম ও সংস্কৃতি’কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর।
বাংলাদেশে এক শ্রেণির রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ধর্মকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। অথচ ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমাদের এই বাংলাদেশ। যে সাধারণ মানুষ একই মাটিতে থেকে, ধুলোবালি মেখে, একই বাংলার জল-বাতাসে হাতে হাত রেখে বেড়ে উঠেছে, তাদের সেই সম্প্রীতিময় সম্পর্কে বেশ খানিকটা ছেদ ঘটানো সম্ভব হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে মূলত সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতার মধ্য দিয়ে। অতীতে ‘শহর থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে শহর’ বিস্তৃত কৃষি সংস্কৃতির যে প্রভাব বলয় ছিল, তা নগরায়ন ও শিল্পায়নের বদৌলতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। জীবন জীবিকার ব্যস্ততা ও ধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় অসুস্থ বিত্ত-বৈভবের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত শ্রেণি সমাজ আজ সাংস্কৃতিক সংকটে পতিত হয়েছে। নৈতিক, সামাজিক বিপর্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে, অবৈধ অর্থ উপার্জন পরবর্তী পাপবোধও রয়েছে। এই স্বাভাবিক ধর্মভীরুতার সুযোগ নিচ্ছে উগ্রবাদীরা।
দেশের মানুষকে পুরোদমে সাম্প্রদায়িকীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ব্রিটিশদের হাতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব থেকেই সমাজে বপন করা হয়েছে ঘৃণার বীজ। যে বীজ আজ পুরোপুরি অঙ্কুরোদগম হয়ে ডাল-পাতায় বিস্তার লাভ করে বিষবাস্প ছড়িয়ে দিচ্ছে। ভৌগোলিক সাংস্কৃতিক আচার-অনুষ্ঠান, মেলা, পালা, পার্বণ ঘিরে ফতোয়াবাজির দরুণ উৎসব আমেজে মানুষ অনীহা প্রকাশ করছে।
গেল কয়েক বছর থেকেই দেশে চৈত্র সংক্রান্তি পেরিয়ে বাংলা নববর্ষ আসতে আসতেই বাংলা সংস্কৃতি ঘিরে সাম্প্রদায়িক বিভিন্ন বয়ানে ভরে ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। হারাম হালাল, জায়েজ না জায়েজের ‘শাহবাগী’ ট্যাগিং একটা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত কয়েক বছর থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজাসহ গ্রামীণ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা-পার্বণ এবং খোদ রাজধানীতে ছায়ানটের বর্ষবরণ, চারুকলার ‘মঙ্গল’ শোভাযাত্রা পুলিশি পাহারায় উদ্যাপিত হচ্ছে। পুলিশি পাহারায় উৎসব উদ্যাপনের এমন দৃশ্য কোনো সভ্য সমাজের চিত্র হতে পারে বলে মনে হয় না। বিধায় বর্তমানে ‘পালা পার্বণে উৎসব আমেজে’, ‘আনন্দ উদ্যাপন’ ঠিক কতটা সম্ভবপর, তা প্রেক্ষাপট পরিপ্রেক্ষিতে অনুমেয়। এর মাঝেই ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত চারুকলার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত বাঙালির ধর্মনিরপেক্ষ সার্বজনীন উৎসবকে আরও ম্লান করছে বলেই মনে হচ্ছে। একই সঙ্গে এমন একটা উৎসবকে সাংস্কৃতিক আবহের বাইরে গিয়ে অধিকতর রাজনীতিকরণও জাতির জন্য মঙ্গলজনক কোনো বার্তা বহন করছে না।
সাংস্কৃতিক আবহ যদি ক্রমান্বয়ে এভাবে সংকুচিত হতে থাকে, তাহলে তা দেশে চরমপন্থার আধিপত্য বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, এটা নিশ্চিতভাবেই অনুমান করা যায়। বিশ্ব সভ্যতার নিরাপত্তা বিবেচনায়, বাংলাদেশকে বাসযোগ্য ভূমি হিসেবে নিশ্চিত করতে ‘বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক সত্তা’কে বিকশিত হতে দিতে হবে। এই লক্ষ্যে বাঙালি সংস্কৃতির সমান্তরালে বাংলাদেশে বাঙালি আর যে সব জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, তাদের ভাষা ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতাও বৃদ্ধি করা দরকার। উৎসব উদ্যাপনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব ‘রাষ্ট্র ও সমাজ’ উভয়কেই গ্রহণ করতে হবে।