Published : 06 May 2025, 08:01 PM
পঞ্চগড়ের আলোচিত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিন নিহতের আড়াই বছর পর হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে পঞ্চগড় আদালত সদর থানা পুলিশকে মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে নথিভুক্তের আদেশ দেয় বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী ওহাব আনসারী।
এর আগে সোমবার পঞ্চগড়ের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে (আমলি আদালত-১) বিএনপি নেতা আরেফিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার হত্যা মামলার আবেদন করেন।
মামলায় পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে প্রধান করে ১৫৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত আব্দুর রশিদ আরেফিন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান মুক্তা, সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, তৎকালীন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, তৎকালীন পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম, তৎকালীন সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকিয়া খাতুন, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হাসনাত হামিদুর রহমান, লুৎফর রহমান, মোস্তফা কামাল, আরিফুর রহমান এবং আশরাফুল ইসলাম।
মামলা থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে গণমিছিল বের করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রথমে এতে বাধা দেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়। এতে প্রায় ৫০ নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় বিএনপি নেতা আরেফিন মারা যান।
পঞ্চগড় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা সভাপতি মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল বলেন, ঘটনার দিন পার্টি অফিসের কাছেই আরেফিনের মৃত্যু হয়। আরেফিনের স্ত্রী মামলা করেছেন।
আদালত তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নথিভুক্ত করার জন্য সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।