তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৯ মার্চ

এই মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশও হয়েছিল।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2023, 02:05 PM
Updated : 9 Feb 2023, 02:05 PM

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে ২৯ মার্চ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান অভিযোগ গঠনের শুনানির এই তারিখ দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

লন্ডনে থাকা তারেক ও জোবায়দাকে পলাতক দেখিয়ে এই মামলার বিচার হবে।

এর আগে ১৯ জানুয়ারি একই বিচারক আসামিদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করার আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ বিষয় প্রতিবেদন জমার জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ দেওয়া হয়।

গেজেটে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছিল আদালত। গত ৩০ জানুয়ারি এই গেজেট প্রকাশ হয় এবং বৃহস্পতিবার গেজেটের কপি আদালতে জমা দেওয়া হয়।

এরআগে ১৯ জানুয়ারি দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি তাতে আদালতকে বলেন, ক্রোক করার মতো আসামিদের কোনো মালামাল তিনি পাননি।

এ মামলায় গত বছরের ১ নভেম্বর তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তাদের গ্রেপ্তার করতে না পেরে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি করে দুদক।

মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

মামলা বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখে।

এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দেয় হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিলের আবেদন করেন জোবায়দা।

এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখে।