এর আগের ধার্য দিনে আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন বাদী।
Published : 22 May 2023, 12:08 AM
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বাদী দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা।
রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান বাদীর সাক্ষ্য নিয়ে আগামী ২৫ মে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তিন ঠিক করে দেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার বাদী জহুরুলের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে এই আদালতেই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর কথা ছিল। ওইদিন তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় রোববার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রাখা ছিল।
এদিন এজাহারকে সমর্থন করে সাক্ষ্য দেন দুদকের উপপরিচালক; ফলে পাঁচ দিন পিছিয়ে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এই মামলায় তারেক ও জোবায়দাকে পলাতক দেখিয়ে এই মামলা চলছে।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের (তারেক-জোবায়দা) আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারসহ বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা বাদীর জবানবন্দি শুনেছেন। জবাববন্দি শেষে বাদীর সঙ্গে তারাও এজলাস ত্যাগ করেন।
“মামলায় অভিযুক্তরা পলাতক। লন্ডন থেকে দেশে এসে তারা মামলা প্রতিদ্বন্দিতা করলে জেরার সুযোগ পেতেন। আমাদের কিছুই করার নেই।”
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়। গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে এই মামলাটি হয় ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে। তখন তারেক গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
দেড় বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান, তারপর আর দেশে ফেরেননি। বিদেশে থেকেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি; এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।
এর মধ্যেই চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজার রায় এসেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে অগাস্টের গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন তারেক।
জোবায়দা চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে ছিলেন। ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে তাকে বরখাস্ত করে সরকার।
আইনের চোখে পলাতক হলেও তারেক ও জোবায়দার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের একটি আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদন নামঞ্জুর করে বিচারক এ মামলার বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত দেন।
অবৈধ সম্পদের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিচার শুরুর আদেশ