সাতজনকে গ্রেপ্তারের পর রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আসেন গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার।
Published : 17 Dec 2023, 08:17 PM
গাজীপুরে রেললাইন কেটে নাশকতার ঘটনায় গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে তিনজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার তারা জেলার বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার মোহাম্মদ কামাল জানান।
এ তিনজন হলেন- নেত্রকোণার মদন উপজেলার বারইবাজার এলাকার জান্নাতুল ইসলাম (২৩), ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বান্দীয়া মেদুয়ারী এলাকার মেহেদী হাসান (২৫) এবং গাজীপুরের উত্তর ছায়াবিথী এলাকার শাহানুর আলম (৫৩)।
এর আগে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়াসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- গাজীপুর মহানগর সদর থানার ভানোয়া এলাকার জুলকার নাইন আশরাফি ওরফে হৃদয় (৩৫), কানাইয়া পূর্বপাড়া এলাকার মো. সাইদুল ইসলাম (৩২) ও মধ্য ছায়াবিথি এলাকার সোহেল রানা (৩৮)।
বুধবার রাতে ভাওয়াল গাজীপুর ও রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে রাখে দুর্বৃত্তরা। পরে সেখানে ভোর ৪টার দিকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এতে ট্রেনযাত্রী আসলাম মিয়া নিহত ও লোকো মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা হয়।
ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে, গাজীপুর জেলা প্রশাসন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি কমিটি করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঘটনায় জড়িতদের ধরতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
সাতজনকে গ্রেপ্তারের পর রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আসেন গাজীপুর মেট্টোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি বলেন, “১১ ডিসেম্বর রাতে কাউন্সিলর ও সাবেক বিএনপি নেতা আজমল ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে তার বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে সভা হয়। সেসব সভায় রেললাইন কেটে নাশকতা ঘটানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা করা হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ ডিসেম্বর রাতে রেললাইন কাটা হয়।”
পুলিশ কমিশনার মাহবুব বলেন, “রেললাইন কাটার পর দলটি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে চারজন এবং বাকিরা মিরপুরে গিয়ে নামেন এবং বিকাশের মাধ্যমে গাড়িচালক সাইফুলকে ৮ হাজার ১০০ টাকা পরিশোধ করেন।”
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আরও জানান, এই ঘটনার কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের চালক সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।
নাশকতার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার এবং এর প্রত্যক্ষদর্শীও পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: