এই নিয়ে বর্তমানে মোট ২৭৪ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে বিজিবি নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের হেফাজতে অবস্থান করছেন।
Published : 19 Apr 2024, 01:16 PM
মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের জেরে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য পালিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে।
শুক্রবার ভোরে বিজিপির এই সদস্যরা বাংলাদেশে এসে কোস্ট গার্ড, টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করে; পরে কোস্ট গার্ড তাদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর কাছে হস্তান্তর করে বলে জানিয়েছেন বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি জানান, এই নিয়ে বর্তমানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মোট ২৭৪ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে বিজিবি নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের হেফাজতে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে আসেন। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করছিলেন ১৮ জন।
সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসেন। তার আগের দিন টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন বিজিপির আরও ১৪ সদস্য।
তারও আগে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ১১ মার্চ আশ্রয় নিয়েছিলেন ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য।
মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে এ বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
পুরানো খবর:
এক দিনে মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির ১৮ সদস্য পালিয়ে এল
মিয়ানমার সেনা-বিজিপির আরও ১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে
বাংলাদেশে ঢুকেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আরও ৫ সদস্য
ফের বাংলাদেশে ঢুকেছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য
‘শুধু গোলাগুলির শব্দ, শেষ কোথায় আল্লাহই জানে’