বিজিবি বলছে, দুইদিনে মোট ১৪ জন এসেছেন। এর আগে রোববার সকালে হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি দিয়ে তিনজন ও ঝিমংখালি সীমান্ত দিয়ে ছয়জন প্রবেশ করেন।
Published : 15 Apr 2024, 05:01 PM
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিজিপির আরও পাঁচ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালি সীমান্ত দিয়ে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ জানান।
তিনি বলেন, দুইদিনে মোট ১৪ জন এসেছেন। এর আগে রোববার সকালে হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি দিয়ে তিনজন ও ঝিমংখালি সীমান্ত দিয়ে ছয়জন প্রবেশ করেন।
এছাড়া গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।
এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানান কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।
এদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দুই সদস্যও সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার বিজিবির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, অস্ত্র জমা নিয়ে তাদের বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে বিজিবির ওই কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে দেশটির জান্তা বাহিনীর লড়াই চলছে গত কয়েক মাস ধরে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সেনাপোস্ট দখল করে ইতোমধ্যে সাফল্য দেখিয়েছে বিদ্রোহীরা।
সেনা ও বিদ্রোহীদের এই লড়াইয়ের প্রভাব পড়ছে সীমান্তের এপারের বাংলাদেশের মানুষের ওপরও। গত কয়েক মাসের মধ্যে ওপার থেকে ছুটে আসা গুলিতে দুই বাংলাদেশির প্রাণ গেছে; আহত হয়েছেন কয়েকজন।
আরও পড়ুন:
ফের বাংলাদেশে ঢুকেছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য
বিস্ফোরণের বিকট শব্দ, কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত
৫ দিন পর মিয়ানমার থেকে ফের বিস্ফোরণের শব্দ আসছে টেকনাফে
পালিয়ে বাংলাদেশে মিয়ানমারের ৩ সেনা