বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারাও।
Published : 04 Apr 2024, 05:33 PM
মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে সবশেষ কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের মানুষ বিস্ফোরণের শব্দ শোনে গত শনিবার। টানা ৫ দিন বিস্ফোরণ বা গোলাগুলির কোনো শব্দ আর ভেসে আসেনি সীমান্তের এপারে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ও আগুনের ধোঁয়ার দেখা পেয়েছেন টেকনাফ সীমান্তের মানুষ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর আড়াই টা) থেমে থেমে শব্দ শোনতে পাওয়ার কথা জানান তারা।
সীমান্ত এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, পুরানবাজার, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া, সাইটপাড়া, রঙ্গিখালী, লেদা, মুচনী, দমদমিয়া, টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়া, কেকে পাড়া, জালিয়াপাড়া থেকে শুরু করে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের নাফনদীর ওপারে বিকট শব্দের বিস্ফোরণ হচ্ছে। যা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ শোনেছেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারাও।
নাফনদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের উত্তরের বলিবাজার, নাকপুরা, দক্ষিণে হাস্যুরাতা, নাইক্ষ্যংদিয়া, মাঝামাঝি সিকদারপাড়া, দলিয়াপাড়া, কদিরবিল, নুরুল্যাহপাড়াকে ঘিরে মর্টার শেলসহ নানা বিস্ফোরণের শব্দই শোনা যাচ্ছে।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, গত ৫ দিন ধরে হ্নীলা ও মিয়ানমারের সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সাবরাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম জানান, ৫ দিন পর সকাল থেকে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। নাফনদীর ওপারে আবারও সংঘর্ষ চলছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আক্তার কামাল বলেন, “গত ৫ দিন পর ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ আসছে। দ্বীপে বসেই শোনা যাচ্ছে এসব শব্দ। দুপক্ষের মধ্যে আবারও সংঘাত শুরু হয়েছে।”
সীমান্ত এলাকার মানুষের ধারণার পাশাপাশি টেকনাফ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকাই এখন আরাকান আর্মির দখলে। সম্ভবত এটা এলাকা পুনরুদ্ধারে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী চেষ্টা করছে। এর জের ধরে হামলা হচ্ছে।
এদিকে, সীমান্তের এ পরিস্থিতিতে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।