“তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”
Published : 14 Apr 2024, 12:01 PM
টেকনাফের একাধিক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) কয়েকজন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
টেকনাফের বিজিবি ২ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, রোববার ভোরের দিকে টেকনাফের সীমান্ত দিয়ে বিজিপির কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
“কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে এরা পালিয়ে এসেছে। তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।”
কতজন এসেছেন তা নিশ্চিত না করে তিনি বলেন, “তাদের একত্রে করে বলা যাবে মোট কতজন এসেছেন।”
তবে বিজিবির স্থানীয় বিওপির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী ও খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে সশস্ত্র ৯ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত রয়েছেন।
অস্ত্র জমা নিয়ে এই ৯ জনকে প্রথমে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আহতদের বিজিবির নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তাদের আনা হয়নি।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে দেশটির জান্তা বাহিনীর লড়াই চলছে গত কয়েক মাস ধরে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সেনাপোস্ট দখল করে ইতোমধ্যে সাফল্য দেখিয়েছে বিদ্রোহীরা।
সেনা ও বিদ্রোহীদের এই লড়াইয়ের প্রভাব পড়ছে সীমান্তের এপারের বাংলাদেশের মানুষের ওপরও। গত কয়েক মাসের মধ্যে ওপার থেকে ছুটে আসা গুলিতে দুই বাংলাদেশির প্রাণ গেছে; আহত হয়েছেন কয়েকজন। সীমান্তের এপারে কারো কারো ঘরবাড়িতে এসে পড়ছে গোলা। ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তাহীনাতা ভুগছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, কয়েকদিন ধরে শাহ পরীর দ্বীপ হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্ব দিকে মিয়ানমারের মংডু শহরের উত্তরে বলিবাজার, শিলখালী, নাকপুরা, হাস্যুরাতা ও নাখ্যংদিয়া থেকে মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। নতুন করে ওই সব এলাকায়ও সংঘাত ছড়িয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।
ওই সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।
তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
এরপর ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৯ জন সদস্য। তাদেরকে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ ব্যাটালিয়নে রাখা হয়। এরপর ৩০ মার্চ ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন মিয়ানমারের তিন সেনা সদস্য।
পুরানো খবর...
বিস্ফোরণের বিকট শব্দ, কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত
৫ দিন পর মিয়ানমার থেকে ফের বিস্ফোরণের শব্দ আসছে টেকনাফে
পালিয়ে বাংলাদেশে মিয়ানমারের ৩ সেনা