ঘটনার সাত দিন পর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Published : 23 Apr 2025, 04:17 PM
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় ‘প্রেমের ফাঁদে ফেলে’ এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রেমিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সাত দিন পর বুধবার ভোরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার নিজগাবী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ধর্মপাশা উপজেলার নিজগাবী গ্রামের মো. শাহজাহান মেম্বারের ছেলে আজিজুল ইসলাম (১৮), একই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মো. রফিক (২৪) এবং প্রয়াত জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সাকিব মিয়া (২৬)। তারা সবাই রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।
তাদের বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হলেও গ্রামটির অবস্থান নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা লাগোয়া।
এর আগে ১৬ এপ্রিল রাতে ঘটনাটি ঘটলেও মঙ্গলবার তা জানতে পারেন স্বজনরা। পরে রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় ভাই থানায় মামলা করেন।
ভুক্তভোগী কিশোরী (১৭) মোহনগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা। সে কিছু দিন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করার পর ছেড়ে দেয়।
মামলা থেকে জানা গেছে, ৩ থেকে ৪ মাস আগে আজিজুলের সঙ্গে মোবাইলের ইমোতে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে আজিজুল ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মোহনগঞ্জের আলোকদিয়া সেতুর ওপর ডেকে নেয়।
পরে সেখান থেকে আজিজুল তার বন্ধু রফিকের মোটরসাইকেলে করে ওই কিশোরীকে ধর্মপাশার হাওর এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তারা। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন তারা।
কিছু সময় পর সেখানে তাদের বন্ধু সাকিব যান। পরে সাবিকও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। রাতভর ধর্ষণ শেষে ভোরে ওই কিশোরীকে তার বাসার সামনে রেখে যান তারা। ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য তারা ওই কিশোরীকে শাসিয়ে যান। অন্যথায় ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
ভয়ে ওই কিশোরী ঘটনাটি আর কাউকে জানায়নি। পরে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনদের বিষয়টি খুলে বলেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন কিশোরীর বড় ভাই। পরে অভিযোগ অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় ভাই।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিন তরুণ ধর্ষণ ও ঘটনার ভিডিও ধারণের বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানান ওসি আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।