সিলেটের ২৩টি বাগানের মধ্যে লাক্কাতুরা, খাদিমনগর, ফতেহপুর ও জাফলং চা বাগানের শ্রমিকরা সোমবার দুপুরে কাজে ফিরেছেন।
Published : 22 Aug 2022, 07:08 PM
কেন্দ্রীয় নেতাদের ১২০ টাকা মজুরিতে কাজে যোগদানের ঘোষণার পর সিলেট ও মৌলভীবাজারের অনেক বাগানে শ্রমিকরা কাজে ফিরলেও ফেরেননি সিলেটের ১৯ বাগানের শ্রমিকরা।
সিলেটের ২৩টির মধ্যে লাক্কাতুরা, খাদিমনগর, ফতেহপুর ও জাফলং চা বাগানের শ্রমিকরা সোমবার দুপুরে কাজে ফিরেছেন।
বাকি শ্রমিকরা দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মালনিছড়া চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন চা শ্রমিকরা।
রোববার রাতে মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে দৈনিক ১২০ মজুরিতে কাজে যোগদানের ঘোষণা আসে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে সাধারণ শ্রমিকরা বিভক্ত হয়ে পড়েন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, “সিলেট ভ্যালির চারটি বাগানের শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। বাইরের কিছু রাজনৈতিক দলের ইন্ধনে কিছু চা শ্রমিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য আন্দোলন করার চেষ্টা করছেন। আশা করি প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের দাবি পূরণ হবে।”
সিলেটের ২৩টির মধ্যে লাক্কাতুরা, খাদিমনগর, ফতেহপুর ও জাফলং চা বাগানের শ্রমিকরা সোমবার দুপুরে কাজে ফিরেছেন।
বাকি শ্রমিকরা দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মালনিছড়া চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন চা শ্রমিকরা।
রোববার রাতে মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে দৈনিক ১২০ মজুরিতে কাজে যোগদানের ঘোষণা আসে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে সাধারণ শ্রমিকরা বিভক্ত হয়ে পড়েন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, “সিলেট ভ্যালির চারটি বাগানের শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। বাইরের কিছু রাজনৈতিক দলের ইন্ধনে কিছু চা শ্রমিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য আন্দোলন করার চেষ্টা করছেন। আশা করি প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের দাবি পূরণ হবে।”
আলীবাহার চা বাগানের শ্রমিক মিথিলা ফারজানা বলেন, “শ্রমিক নেতারা সাধারণ শ্রমিকদের মতামত না নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। এটা আমরা মানি না। ৩০০ টাকা মজুরি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।”
মালনিছড়া চা বাগানের শ্রমিক আব্দুল করিম বলেন, “চা শ্রমিকরা নেতাদের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই আন্দোলন থেকে সরে যাচ্ছেন না। চা শ্রমিকরা সরাসরি অথবা ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস না পেলে কাজে ফিরবে না।”
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য হৃদেশ মুদি বলেন, “শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তের পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাধারণ শ্রমিকরা এখনও অবগত নয় – তাই আন্দোনলনের গতি প্রকৃতি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ অগাস্ট থেকে আন্দোলন করছেন চা শ্রমিকরা। প্রথম চারদিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। কিন্তু তাদের দাবির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ১৩ অগাস্ট থেকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন।
১১ দিন পর গত ২০ অগাস্ট শ্রম অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকায় রাজি হয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। কিন্তু আন্দোলনকারী শ্রমিকদের একটি অংশ তা প্রত্যাখ্যান করে রোববার রাজপথে নামে।
এই প্রেক্ষাপটে রোববার রাতে আবার চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ‘সম্মান’ জানিয়ে ১২০টাকা মজুরিতেই সোমবার থেকে কাজে যোগ দিচ্ছেন তারা।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে বিজয় ছাড়াও রয়েছেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেণ পাল, সহসভাপতি পংকজ চন্দ্র, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালন্দি প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
চা শ্রমিক ইউনিয়ন কাজে ফিরছে ১২০ টাকা মজুরিতেই
চা শ্রমিকের মজুরি বেড়ে ১৪৫ টাকা, আন্দোলন প্রত্যাহার
কর্মবিরতির মধ্যে শ্রম অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে চা শ্রমিকরা
বাগানে বাগানে মিছিল, এমপিকে স্মারকলিপি চা শ্রমিকদের
ভরা মৌসুমে শ্রমিক ধর্মঘটে শঙ্কায় চা বাগান
মজুরি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান চা শ্রমিকরা
১২০ টাকায় কীভাবে সংসার চলে, প্রশ্ন চা শ্রমিকের
অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চা শ্রমিকরা
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা বাগানে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি