ভরা মৌসুমে শ্রমিক ধর্মঘটে শঙ্কায় চা বাগান

ভরা মৌসুমে কচি পাতা না তুললে বাগান মালিক ও শ্রমিক দুপক্ষেরই ক্ষতি।

বিকুল চক্রবর্তী, মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2022, 04:11 AM
Updated : 16 August 2022, 04:11 AM

দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ভরা মৌসুমে চা শ্রমিকরা ধর্মঘটে যাওয়ায় কচি পাতা তোলা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে পড়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ; এতে শ্রমিকরাও ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

সাধারণত মে মাসের শেষ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়কে চায়ের পাতা সংগ্রহের ভরা মৌসুম বলা হয়ে থাকে। এ সময় শ্রমিকরা বাগান নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পাতা তোলতে পারেন। ফলে তাদের মজুরিও বেশি আসে।

এই সময়ে কাজে যোগ না দিয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক চা শ্রমিকরা যেমন বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন; ঠিক তেমনি পাতা বড় হয়ে গেলে চায়ের গুণগত মান বজায় থাকে না বিধায় মালিকও ক্ষতির শিকার হন।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নে অবস্থিত জেরিন চা বাগানের ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন পাতা তোলার ভরা মৌসুম। এখন যদি কচি পাতা সংগ্রহ না করা যায় তাহলে বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। যেসব পাতা উঠানো হয়েছে শ্রমিকরা কাজ না করায় সেসব পাতা বাগানের সেকশনে সেকশনে নষ্ট হচ্ছে। এতে বাগান কর্তৃপক্ষ ক্ষতির মুখে পড়বে।”

বাগান প্রশাসনের এই কর্মকর্তা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার আহ্বান জানালেও শ্রমিকদের ভাষ্য হচ্ছে, নিজের ক্ষতি জেনেও তারা অধিকার আদায়ের জন্যই ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ ছাড়া তাদের আর কোনো পথ নেই।

আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শ্রমিকরা তো নিরুপায়। যে বেতন দেওয়া হয় সেই বেতনে চলে না। ১২০ টাকায় কে চলতে পারে? বাজারে একজন সাধারণ শ্রমিকের দৈনিক মজুরি কত? আর আমরা কত পাই?”

“একদিন কাজ না করলে পরিবার, বাচ্চাকাচ্ছা, বাবা-মাকে নিয়ে একদিন ‍অভুক্ত থাকতে হয়। এই অবস্থায় নিজের লোকসান স্বীকার করেও ভালো কিছুর জন্য আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছি।”

টানা তিন থেকে চারদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতির পর একদিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি বা ধর্মঘট পালন করেছেন মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেটসহ দেশের ২৪১টি চা বাগানের শ্রমিক। সপ্তাহিক ছুটি ও জাতীয় শোক দিবসের জন্য দুদিন কর্মসূচি শিথিল করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। মঙ্গলবার থেকে ফের ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা রয়েছে শ্রমিকদের।

সোমবার শ্রীমঙ্গল সদরের আশপাশের কয়েকটি চা বাগান ঘুরে দেখা যায়, গাছের কচি পাতা অনেক বড় হয়ে গেছে এবং নতুন নতুন কুঁড়ি গজাচ্ছে। কোথাও কোথাও চা গাছে গজিয়ে উঠছে পরগাছা। এতে এক রাউন্ড পাতা নষ্ট হওয়ার পথে।

বাগান কর্তৃপক্ষ জানায়, একটি গাছ থেকে একবার কচি পাতা তোলার পরবর্তী সাত থেকে নয়দিন ওই গাছ থেকে আর পাতা তোলা হয় না। তখন সেখানে নতুন কুঁড়ি ও পাতা আসে। নতুন পাতা আসার তিনদিনের মধ্যেই তা তুলতে হয়। একবার পাতা তোলাকে বলা হয় ‘এক রাউন্ড’।

পাতা বড় হয়ে গেলে গুণগত মান ভাল থাকে না। বড় পাতা অনেক সময় বাগান কর্তৃপক্ষ আর তোলেন না। কারণ, এতে তাদের উৎপাদন খরচও আসে না।

শ্রমিকরা জানান, তারা দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি তখনি পান যখন বাগান নির্ধারিত দৈনিক ন্যূনতম ২৪ কেজি পাতা সংগ্রহ করতে পারেন। ২৪ কেজির নিচে হলে মজুরিও অনুপাতে কম আসে।

তবে সাধারণত ভরা মৌসুমে একজন শ্রমিক ৫০ কেজি পর্যন্ত পাতা তুলতে পারেন। কারণ, গাছে তখন কচি পাতা বেশি থাকে। দুহাত ভরে পাতা আসে। এ সময় আয়ও তাদের বেশি হয়।

২৪ কেজির পরবর্তী প্রতি কেজিতে বাগানভেদে শ্রমিকরা চার থেকে পাঁচ টাকা করে পান বলে জানান শ্রীমঙ্গলের ভারাউড়া চা বাগানের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) গোলাম মোহাম্মদ শিবলি।

নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর-জানুয়ারি পাতায় ভাটা থাকে। গাছে কচি পাতার পরিমাণ থাকে অনেক কম। শ্রমিকরা এ সময় দৈনিক বড়জোর ১৪-১৫ কেজি পর্যন্ত পাতা সংগ্রহ করতে পারেন। ফলে এই সময়ে শ্রমিক দৈনিক মজুরি ১২০ টাকাও তুলতে পারেন না।

ভরা মৌসুমের একটু বাড়তি আয়ই ভাটার সময়ে ‘সম্বল’ হিসেবে কাজ করে শ্রমিকের। জানুয়ারি থেকে মে’র শুরু পর্যন্ত শ্রমিকরা বাগানের অন্যান্য কাজে যোগ দেন। এই অগাস্টের মাঝামাঝিতে এসে বাগানের পাতা গাছেই বড় হচ্ছে; তোলার কেউ নেই।

রোববার বিকালে সেকশনের পাশে গরু চরাতে আসা পুটিয়াছড়া চা বাগানের শ্রমিক শকুনতলা চাষা চা পাতা দেখিয়ে বলেন, “চা পাতা বড় হয়ে নষ্ট হচ্ছে; এতে আমাদের চেয়ে কষ্ট অন্য কারো হওয়ার কথা না। কারণ, এই পাতাই আমাদের জীবন। এই পাতাই আমরা প্রতিদিন তুলি; এটি আমাদের জীবনের অংশ।”

জাগছড়া চা বাগানের বেহুলা তাঁতী বলেন, “পাতাগুলো আমাদের দিকে চেয়ে আছে তোলার জন্য। কিন্তু মালিকের তো মন গলে না। আমরা কখনও মালিকের লোকসান চাই না, ক্ষতি চাই না।

“করোনাভাইরাসের সময়ও আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাতা তুলে মালিককে লাভ করিয়ে দিয়েছি।”

বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. রফিকুল হক এবং বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. ইসলাম হোসেন জানান, কচি পাতা থেকেই ভালো চা হয়। বড় পাতায় চায়ের গুণগত মান কমে যায়। তাই কচি পাতাই সব সময় তোলা হয়।

শ্রমিক ও বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিলেট ভ্যালির ২৩টি, হবিগঞ্জের ২৪টি, মৌলভীবাজারের ৯২টিসহ দেশে মোট ২৪১টি চা বাগান আছে। এর মধ্যে ১৬৭টি মূল বাগান। বাকিগুলোকে বলা হয় ‘ফাঁড়ি বাগান’।

‘ফাঁড়ি বাগান’ মূলত বড় বাগানের সঙ্গে যুক্ত ছোট ছোট বাগান। যেমন- শ্রীমঙ্গলের ভারাউড়া চা বাগানের দুটি ‘ফাঁড়ি বাগান’ হচ্ছে ভুড়ভুড়িয়া চা বাগান ও খাইছড়া চা বাগান। ‘ফাঁড়ি বাগানে’ তুলনামূলক শ্রমিক কম থাকে। ২৪১টি চা বাগানে ২০২১ সালে মোট ৯৬.৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।

শ্রমিকরা দ্রুতই কাজে না ফিরলে এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে বলেও আশঙ্কা করছে বাগান কর্তৃপক্ষ। এতে বাগানের আয় কমবে। যার প্রভাব পরবর্তীতে শ্রমিকের ওপরও পড়বে বলে ধারণা তাদের।

চা শ্রমিক নেতারা বলছেন, কাজে ফেরার জন্যই তারা আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রেখেছেন। এর অংশ হিসেবে কর্মবিরতির পাশাপাশি বেতন বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে রোববার শ্রম অধিদপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শ্রম অধিদপ্তরের সঙ্গে তাদের বসার কথা রয়েছে। বৈঠকে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী (এনডিসি) উপস্থিত থেকে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার কাজ করবেন বলে জানান শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলাম।

দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশীয় চা সংসদের (বিটিএ) সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দি বলেন, তারা শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের চিঠি পেয়েছেন এবং মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন। তবে কর্মবিরতি চলবে।

“আলোচনায় মানসম্মত একটি মজুরি পেলে সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবেন।”

শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, চা শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হলে পরবর্তীতে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন ডিজি।

তিনি আরও জানান, যেকোনো শিল্পে বিবাদ দেখা দিলে শ্রম অধিদপ্তর এগিয়ে এসে তা সমাধানের চেষ্টা করে। শিল্প বন্ধ থাকলে মালিক-শ্রমিক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশীয় চা সংসদের আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, রেশন, পানীয় জলের ব্যবস্থা ও বোনাসসহ ন্যায্যমজুরি নিশ্চিত করবে বাগান মালিক।

মজুরি বাড়ানোর জন্য প্রতি দুই বছর পর পর বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশীয় চা সংসদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে উভয়ের আলোচনায় ঐক্যমতের পর চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এই চুক্তি অনুযায়ী, পরবর্তীতে দুই বছর শ্রমিকরা বেতন-ভাতাসহ অনান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন।

চা শ্রমিকদের সঙ্গে সবশেষ দ্বি-বার্ষিক চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এর পর পরই বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশীয় চা সংসদের কাছে ২০ দফা দাবিনামায় ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরি দাবি করেন। এ নিয়ে দফায় দফায় এ পর্যন্ত ১৩টি বৈঠকও হয় দুই পক্ষের মধ্যে। কিন্তু দাবির বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ করেন শ্রমিক নেতারা।

শ্রমিক নেতারা জানান, গত ৩ অগাস্ট চা বাগানের মালিকদের কাছে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর জন্য এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সেটায় কর্ণপাত করেননি।

এর প্রতিবাদে ৯ অগাস্ট থেকে সারাদেশের চা বাগানে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে শ্রমিকরা। কর্মবিরতি শেষে তারা কাজে ফিরছিলেন। এরপরও মালিকপক্ষ দাবি মেনে না নেওয়ায় শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যায়।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের ২৪টি চা বাগানের ১০ জন শ্রমিক নেতার সঙ্গে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। ২৮ আগস্ট বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব রেখে শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু শ্রমিকরা এতে সম্মত হননি।

এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের ডিজি শুক্রবার বিকেলে চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের কাছে একটি চিঠি দেন। এতে চা পাতা উত্তোলনের ভরা মৌসুমে আন্দোলন না করে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার আহ্বান জানান।

শ্রমিকদের আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, সমঝোতা চুক্তির মধ্যে কর্মবিরতি ও আন্দোলনে যাওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক। এরই মধ্যে শ্রমিকদের বিষয়গুলো নিয়ে ১৩টি বৈঠক হয়েছে। ফলপ্রসূ আলোচনাও হয়েছে।

“তাদের বোনাস বৃদ্ধি, গামছা ও টুকরি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। বর্ধিত মজুরিরও একটি প্রস্তাবনা আমরা দিয়েছি। এই শিল্পকে তো টিকিয়ে রাখতে হবে। গত ১০ বছর ধরে চা পাতার মূল্য বাড়েনি। কিন্তু ১০ বছরে চা শ্রমিকদের বেতন কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “দুই টাকা কেজি দরে শ্রমিকদের সপ্তাহে একবার আটা দেওয়া হয়। বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা সবকিছুই আমরা দিচ্ছি। এই হিসাব করলে তাদের দৈনিক মজুরি দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৩০০ টাকা।”

আরও পড়ুন:

Also Read: মজুরি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান চা শ্রমিকরা

Also Read: ১২০ টাকায় কীভাবে সংসার চলে, প্রশ্ন চা শ্রমিকের

Also Read: অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চা শ্রমিকরা

Also Read: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা বাগানে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি

Also Read: বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ২৪১ চা বাগানে চলছে কর্মবিরতি