দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে কর্মবিরতির মধ্যেই শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন চা শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ রোডের শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ে মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনও শেষ হয়নি।
আলোচনায় বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সহসভাপতি পঙ্কজ কন্দ, সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল হাজরাসহ সাতটি ভ্যালির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত আছেন।
শ্রমিক নেতারা জানান, দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। একপর্যায়ে শ্রম অধিদপ্তর থেকে শ্রমিক প্রতিনিধিদলকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, বেতন বাড়ানো নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আগামী ২৩ অগাস্ট বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে ধর্মঘট বা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানানো হয়।
কিন্তু শ্রমিক নেতারা এই দাবির প্রতি একমত পোষণ করেননি। তখন শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এক ঘণ্টা সময় নিয়ে নেতাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনার কথা বলেন। তারাও এই সময়ে বাগান মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বিকাল সাড়ে ৩টার পর আবার শ্রমিকদের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, আলোচনা অব্যাহত আছে। এখনি কিছু বলা যাবে না। আলোচনা শেষ হোক।
টানা তিন থেকে চারদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতির পর একদিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি বা ধর্মঘট পালন করেছেন মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেটসহ দেশের ২৪১টি চা বাগানের শ্রমিক। সপ্তাহিক ছুটি ও জাতীয় শোক দিবসের জন্য দুদিন কর্মসূচি শিথিল করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। মঙ্গলবার থেকে ফের ধর্মঘটে যায় শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন:
ভরা মৌসুমে শ্রমিক ধর্মঘটে শঙ্কায় চা বাগান
মজুরি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান চা শ্রমিকরা
১২০ টাকায় কীভাবে সংসার চলে, প্রশ্ন চা শ্রমিকের
অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চা শ্রমিকরা