পাচারকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানানো হয় এ কর্মসূচিতে।
Published : 31 May 2024, 08:10 PM
চাকরি ও লেখাপড়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাহাড়ি নারীদের 'বিদেশে পাচার' বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে চট্টগ্রামের এক মানববন্ধন থেকে।
শুক্রবার দুপুরে 'চট্টগ্রামে বসবাসরত সচেতন জুম্ম সমাজ' ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পাচারকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানানো হয় এ কর্মসূচিতে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি মহাথেরো বলেন, "পাহাড়ে অর্থনৈতিক দারিদ্র্য এবং শিক্ষার অভাবের সুযোগে সহজ সরল পাহাড়ি নারীদের চীনে পাচার করা হচ্ছে। এই পাচার রোধে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
"শহরাঞ্চলে ইপিজেডগুলোতে পাহাড়ি নারীরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। তাদের শ্রমে কারখানার মালিকরা লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন অনৈতিক প্রলোভন ও বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।"
সভাপতির বক্তব্যে ‘চট্টগ্রামে বসবাসরত সচেতন জুম্ম সমাজ' এর সমন্বয়ক কিকো দেওয়ান বলেন, "এ পর্যন্ত পাঁচশর বেশি জুম্ম নারীকে চীনসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। অল্প বয়সী পাহাড়ি নারীদের চাকরি ও পড়াশোনার প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ঢাকা নিয়ে আসা হয়।
"পাচারচক্র বিদেশে যাওয়ার সুযোগ ও অনৈতিক প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ের নাটক মঞ্চস্থ করে। তারপর পাসপোর্ট-ভিসা প্রক্রিয়া শেষ করে বাইরে পাচার করা হয়। পরে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হয়। পরে বাঁচার তাগিদে দেশে ফেরত আসতে চাইলে তাদের কাগজপত্র জব্দ, নির্যাতন এবং মারধর করা হয়।"
কিকো দেওয়ান বলেন, এই পাচারচক্রের হোতাদের সঙ্গে কয়েকজন পাহাড়িও জড়িত, যারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রয়েছেন।
"আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি, নারী পাচার বন্ধ এবং পাচারকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।"
অরুণ জয় চাকমার সঞ্চালনায় এ মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের চট্টগ্রাম নগর সভাপতি পিংকি চাকমা, ত্রিপুরা শ্রমিক ফেডারেশনের অর্থ সম্পাদক উপামোহন ত্রিপুরা, বিশ্বমৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের সাধারণ সম্পাদক সুশোভন চাকমা, পাহাড়তলী স্বধর্ম রক্ষা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জলময় চাকমা বক্তব্য দেন।