সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালে। এর আগে ২০০৮, ১৯৯৯ ও ১৯৯৪ সালে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
Published : 20 Apr 2025, 09:40 PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে উপস্থিত থাকবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তবে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তঅ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ডি-লিট (ডক্টর অব লিটারেচার) সম্মাননা দেওয়া হবে প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ শিক্ষককে।
পঞ্চম সমাবর্তন আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব ও ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী চ্যান্সেলরের অনুপস্থিতিতে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার সমাবর্তনের সভাপতিত্ব করবেন।”
আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন।
এবারের সমাবর্তনে ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, পিএইচডি, এমফিল, এমএস, চিকিৎসা বিজ্ঞান, নার্সিং ও সাধারণ ডিগ্রিধারীদের সনদ দেওয়া হবে। তবে এবারের সমাবর্তনে দেওয়া হবে না চ্যান্সেলর পদক।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্মাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি, এমবিবিএস সম্পন্ন করা এক হাজার ৪২৭, ডেন্টাল ও নার্সিং কলেজের ৪২০, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ৩৩৪ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি পিএইচডি সম্পন্ন করা ৩৯ জন এবং এমফিল করা ৪২ জন শিক্ষার্থী তাদের সনদ নেবেন সমাবর্তনে।
সমাবর্তন আয়োজন কমিটির সচিব এনায়েত জানান, পঞ্চম সমাবর্তনে শিক্ষা উপদেষ্টা, ইউজিসি চেয়ারম্যান এবং সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং ব্যক্তিরাও উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে গত ১৬ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন চবি উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। তারা প্রধান উপদেষ্টাকে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালে। এর আগে ২০০৮, ১৯৯৯ ও ১৯৯৪ সালে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সব সনদে নিজেই স্বাক্ষর করছেন উপাচার্য
এদিকে এবারের সমাবর্তনে সকল সমাবর্তীর সনদে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার নিজেই স্বাক্ষর করছেন।
রোববার সন্ধ্যায় উপাচার্য তার ফেইসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবর্তন। সমাবর্তী ২৩ হাজার। মাত্র ১৮ হাজার সনদে স্বাক্ষর করতে হবে। সিল বানিয়ে দেওয়া যেতো। সেটা করিনি। সমাবর্তীরা এখানে ৫-৬ বছর পড়েছেন। তারা আমাদের একাডেমিক সন্তান। আমরা চাই, কষ্ট হলেও তাদের সনদে আমাদের হাতের ছোঁয়া থাক। সে জন্য স্বল্প সময়ে স্বাক্ষর করার জন্য এ পদ্ধতিতে কাজ করছি। আল্লাহ সহায় হবেন…”