পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে যে দিনটিতে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ফুরোচ্ছে, সে দিনটি ভালবাসা দিবস হিসেবেই উদযাপিত হয়, তবে ভালোবাসার বদলে সমালোচনা সঙ্গী করেই যেতে হচ্ছে তাদের।
Published : 13 Feb 2022, 11:59 PM
কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের উত্তরসূরি হয়ে ২০১৭ সালে সাংবিধানিক সংস্থাটিতে দায়িত্ব নেওয়ার সময় সবার আস্থাভাজন ছিলেন না সাবেক আমলা নূরুল হুদা।
‘আপসহীন’ থাকার ঘোষণা দিয়ে দায়িত্ব নেওয়া নূরুল হুদার কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ থাকলেও বদলে জুটেছে ‘দলকানা’, ‘আজ্ঞাবহ’, ‘মেরুদণ্ডহীন’, ‘খলনায়ক’ এমন সব অভিধা।
এসবের পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগের মুখেও পড়তে হয়েছে এই ইসিকে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করে এই ইসিকে বরখাস্তের আবেদনও জমা পড়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে।
শেষ বেলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদার ইসির ‘পারফর্মেন্স সন্তোষজনক নয়’ বলে মূল্যায়ন অনেকটাই তাদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয়।
এত সব সমালোচনার মুখে আত্মপক্ষ সমর্থনে নূরুল হুদার যুক্তি, নির্বাচন কমিশনের মতো ‘জটিল’ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কারও ‘বাহবা পাওয়ার সুযোগ নেই’।
২০১৪ সালে অনেকটা একতরফা নির্বাচনের পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলকে আনার কৃতিত্ব নূরুল হুদা কমিশন দাবি করতেই পারে, যদিও সেটাও ‘দিনের ভোট রাতে করার’ সমালোচনা দিয়ে শেষ হয়েছিল। নাগরিকদের ‘ভোট বিমুখ’ করার দায়ও চাপে তাদের উপর।
এর আগের কাজী রকিব কমিশনকে যে সব সমালোচনা হইতে হয়েছিল, একই অভিজ্ঞতা নূরুল হুদা কমিশনেরও হয়েছিল।
তবে একজন কমিশনার মাহবুব তালুকদারে তৎপরতায় ইসির ভেতরের দ্বন্দ্বও প্রকাশ হয়ে পড়ে এবার, যা আগে দেখা যায়নি।
নির্বাচন থেকে শুরু করে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিজের ভিন্নমত বারবার প্রকাশ্যে এসে অন্য সব সহকর্মীকে ছাপিয়ে আলোচনায় ছিলেন সাবেক আমলা, লেখক মাহবুব তালুকদার।
আলোচনায় থাকতেই মাহবুব তালুকদারের এমন কর্মকাণ্ড বলে সিইসি নূরুল হুদা অস্বস্তি এড়াতে চাইলেও একে ‘গণতন্ত্রের বিউটি’ বলে মন্তব্য আসে সরকারি দল থেকে। আর সরকার ও ইসির সমালোচনা করতে গিয়ে মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য হয়ে ওঠে বিরোধীদের হাতিয়ার।
কাজী রকিব পেরিয়ে হুদা কমিশন
বর্জন-সহিংসতা-নৈরাজ্যের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কাজী রকিব নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।
তার আগেই নতুন ইসি গঠনের উদ্যোগ নেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, গঠন করেন সার্চ কমিটি। ওই কমিটি নতুন সিইসি হিসেবে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার কিংবা সাবেক অতিরিক্ত সচিব নূরুল হুদাকে সিইসি নিয়োগের সুপারিশ করে।
তাদের মধ্য থেকে নূরুল হুদাকে বেছে নেন রাষ্ট্রপতি। সেই সঙ্গে সার্চ কমিটি প্রস্তাবিত আটটি নাম থেকে মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে নিয়ে গঠিত হয়দেশের দ্বাদশ ইসি।
ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে শপথ নিয়ে দায়িত্ব নেন নূরুল হুদাসহ পাঁচ কমিশনার। ইসির মেয়াদ পাঁচ বছর বলে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) তাদের মেয়াদ ফুরোচ্ছে।
সংলাপ করে সব দলকে নিয়ে নির্বাচন
পাঁচ বছর মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতেই একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ দিয়েছিল নূরুল হুদা কমিশন।
প্রায় দুই বছর পর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সেই নির্বাচন হয়। তাতে ৩৯টি দল অংশ নেয়। ছয়টি আসনে প্রথমবারের মতো ইভিএম ব্যবহার হয়।
কাজী রকিব কমিশনের অধীনে দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১২টি দল কেবল অংশ নিয়েছিল। বিএনপিসহ অনেক দল অংশ না নেওয়ায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনই ছিল নূরুল হুদা কমিশনের চ্যালেঞ্জ।
২০১৭ সালে যোগ দিয়েই কে এম নূরুল হুদা কমিশন কুমিল্লা ও রংপুর সিটি নির্বাচন ভালোভাবে করেই সবার নজর কাড়েন এবং আস্থা কুড়ানোর পথে একধাপ এগিয়ে যান।
তখন রোডম্যাপ ঘোষণা করে আইন সংস্কার, সংসদীয় আসনসহ নানা বিষয়ে সব অংশীদার, বিশিষ্ট নাগরিক ও ৪০ দলের সঙ্গে সংলাপ করে কিছুটা স্বস্তিতেও ছিলেন তারা।
দশম সংসদে অংশ না নেওয়া বিএনপি ও শরিকরা এ সংলাপকে ‘অর্থপূর্ণ’ না বললেও বিরোধীদের সংলাপে আনতে পেরে খুশি ছিলেন নূরুল হুদা।
সংলাপের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেন, “বর্তমানে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকারের যে একটা প্রচণ্ড রকমের অগণতান্ত্রিক আচরণ- এর মধ্যে আমরা কিছুটা আশাবাদী তো বটেই।”
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ভোটের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফের দলগুলোর মতামত নেয় ইসি। রাজনৈতিক সমঝোতার আভাসের মধ্যে ২৩ ডিসেম্বর ভোটের তারিখও দেন সিইসি। পরে সবার মতামত নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের পরই বিএনপির আশা ভঙ্গে পাল্টে যায় চিত্র। এ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তারা অভিযোগ তোলে, ‘দিনের ভোট রাতে’ হয়ে গেছে।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ইসিও এই সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। সিইসি নূরুল হুদা বলেন, এ নির্বাচন ‘রেকর্ডে রাখার মতো’।
এরপর একে একে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সব সিটি করপোরেশন, প্রায় পাঁচশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, প্রায় তিন শত পৌরসভা, চার সহস্রাধিক ইউনিয়ন পরিষদের ভোটসহ মেয়াদোত্তীর্ণ সব সাধারণ ও উপ নির্বাচন শেষ করে ইসি।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা আবার সমালোচনায় ফেলে ইসিকে।
নিজেদের মেয়াদে সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার ৮০ শতাংশ থাকলেও পরবর্তী তাতে ধস নামে। ভোটার বিমুখতার সমালোচনার মধ্যে ইভিএমে সর্বনিম্ন ৫.২৮% ভোট পড়ার রেকর্ড হয়েছে একটি সংসদের উপ নির্বাচনে। অবশ্য এ ইসির অধীনে শতভাগ ভোট পড়ার রেকর্ডও রয়েছে শতাধিক কেন্দ্রে।
ভোট নিয়ে অভিযোগের সঙ্গে দুর্নীতিও
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটে অনিয়ম, অভিযোগের পরই বর্তমান ইসির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় বিএনপিসহ একটি রাজনৈতিক জোট, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরই টিআইবি বলে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, বিতর্কিত হয়েছে।
বর্তমান কমিশনকে ‘অদক্ষ’ আখ্যা দিয়ে ভোটে ‘অনিয়ম’ এবং নির্বাচন ব্যবস্থা ‘ভেঙে দেওয়া’সহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা সম্প্রতি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাজ ‘সন্তোষজনক নয়’।
ইসির মেয়াদের শেষ সময়ে এসে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, “নির্বাচন কমিশন চরমভাবে ব্যর্থ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত, বিচার হওয়া উচিত; কারণ তারা বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবিও ওঠে ২০২০ সালে।
আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে এর তদন্ত করতে ২০২০ সালে এসে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে ৪২ জন নাগরিক।
এ নিয়ে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, যে সব অভিযোগ উঠেছে সেগুলোকে ‘ভিত্তিহীন, অসত্য ও অনভিপ্রেত’।তিনি সাবেক সিইসি শামসুল হুদার সমালোচনা করেন। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ইসির কাজ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়েছেন বলেও দাবি করেন।
এর পাল্টায় বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য, এরকম একজন খলনায়ককে নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যে আইনটা করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত এরকম লোকদের নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।”
মাহবুব তালুকদারে অস্বস্তি
পাঁচ বছর মেয়াদে সব আলোচনাকে ছাপিয়ে সহকর্মী মাহবুব তালুকদার ছিলেন সিইসি নূরুল হুদার অস্বস্তির বড় কারণ।
শুরু থেকেই নানাভাবে আলাদা কিছু করে আলোচনায় ছিলেন এ নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচন কমিশনে সবচেয়ে প্রবীণ মাহবুব তালুকদার ভোটের আগে ইভিএমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, আইন সংস্কারের সভায় ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সভা বর্জন করেন। খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলে সহকর্মীদের বিপরীত অবস্থান নেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে সিইসি ও ইসি সচিবের কর্তৃত্ব, ভোটে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হওয়া, নির্বাচন বিমুখতা, ভোটের সহিংতা, ইসির আরও ক্ষমতায়ন, নির্বাচন-গণতন্ত্র আইসিইউতে, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার, সিইসির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অস্তিত্বে আঘাত দেওয়ার মতো অভিযোগ করেন মাহবুব তালুকদার।
এক পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে পদত্যাগের জন্যও প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
তার এমন অবস্থানে কমিশনের অস্বস্তির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলেও প্রভাব ফেলে। ক্ষমতাসীন দলের অনেকে মাহবুব তালুকদারের সমালোচনায় ছিলেন মুখর। অবশ্য, দলটির সাধারণ সম্পাদক এ ধরনের দ্বন্দ্বকে গণতন্ত্রের বিউটি বলে মন্তব্য করেন।
‘বাহবা পাওয়া কঠিন’
‘আজ্ঞাবহ’ বলে সমালোচনা হলেও সিইসি কে এম নূরুল হুদার দাবি, সমালোচনা-বিতর্ক যতই হোক, নিজেদের মেয়াদে কোনো ধরনের ‘চাপ ছাড়াই’ তারা আইনানুগভাবে সব নির্বাচন করেছেন।
ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকেও বারবার বলা হয়, সাংবিধানিক সংস্থা ইসির কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি কখনও।
নিজেদের সমালোচনা নিয়ে নূরুল হুদার ভাষ্য, নির্বাচন কমিশনের মত ‘জটিল’ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কারো ‘বাহবা পাওয়ার সুযোগ নেই’।
নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে তারা ‘সর্বোচ্চটাই’ দিয়েছেন।
“কোভিড পরিস্থিতির জন্যে অনেক কিছুই সময় মতো করতে পারিনি। যেজন্যে শেষদিকে করতে গিয়ে কিছু সমস্যাও হচ্ছে। আইনের মধ্যে থেকে যতটুকু সম্ভব সব করেছি।”
আইন সংস্কার নিয়ে ঝুলে থাকার প্রস্তাবগুলো সময় মতো হবে বলে আশা রাখেন তিনি।
নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি ‘ব্যক্তিগত বহিঃপ্রকাশ’ বলে মনে করেন এ নির্বাচন কমিশনার।
রফিকুল বলেন, “আমি কোনো বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করি, কখনও একমত পোষণ না করতে পারি। এটা কমিশনের একটা পার্ট। অনেক বিষয়ে আমার দ্বিমত ছিল, আমি কাউকে বলার প্রশ্ন উঠে না। কমিশনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে পার্ট অব কমিশন। আমাকে তা ওউন করতে হবে। এটা নিয়ে কথা বলাটা খুব বলাটা খুব একটা প্রয়োজনীয় মনে হয়নি।”
ইভিএম ও অনলাইনে মনোনয়ন জমার বিষয়টি আগামী কমিশন এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা থাকলে কমিশনের প্রতি আস্থাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে বলে মনে করেন রফিকুল ইসলাম।
বিদায় বেলায় নূরুল হুদা নিজেদের মেয়াদের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে এবং পরিপূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য। কোন রকমের কারো কথায় না, আইনের শাসনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছি।
“আমি মনে করি- আমি সাফল্যের সাথে কাজ করেছি। সবগুলো নির্বাচন শেষ করে দিয়েছি। একটা নির্বাচনও বাকি রাখিনি। ১০ তারিখ যেটা ছিলে, সেটার সময় হয়েছিলে, সব নির্বাচন শেষ করে এবার আমরা পরিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করেছি।”
নিজেদের কাজে সন্তুষ্টি থাকলেও একটি বিষয়ে অতৃপ্তি থেকে যাচ্ছে বিদায়ী সিইসি নূরুল হুদার। আর সেটা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে।
অবশ্য তার দৃষ্টিতে, দল, প্রার্থী ও সমর্থকদের সহনশীলতার অভাবই নির্বাচনে সহিংসতার কারণ, যা ইসির একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
“বারবার বলেছি-পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো রাখার ক্ষেত্রে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের সহনশীল আচরণই প্রথম। নির্বাচনের সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ইসির নেই, যখন পর্যন্ত না প্রার্থী, জনগণ, দল, সমর্থক সহনশীল আচরণ করে। এটা কি সম্ভব? কখনো সম্ভব না; এখানেই অতৃপ্তি।”