এ নিয়ে ‘অধিকার খর্ব’ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে ইউও (আন-অফিসিয়াল) নোট দিয়েছেন তিনি।
গত ২১ জুলাই নির্বাচন কমিশনের ৫০তম সভা নিয়ে এ নোট দেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। সেই সঙ্গে অপর তিন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে অবগত করতে অনুলিপি দেন তিনি।
মাহবুব তালুকদার নোটে লিখেছেন, গত ২১ জুলাই নির্বাচন কমিশনের ৫০তম সভায় উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় ২৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি।
“কমিশনের ৫০তম সভার কার্যবিবরণীর খসড়া আমার কাছে পেশ করা হলে আমার বক্তব্য তাতে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় আমি নথিতে লিখি, কমিশনের ৫০তম সভায় আমি রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছিলাম। বিষয়টি কার্যবিবরণীভুক্ত করে পুনরায় পেশ করা যেতে পার’।
“নথিটি আমি সচিবের নিকট ফেরত পাঠাই। সচিব আমার নিকট পুনরায় নথি পেশ না করে আমাকে পাশ কাটিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকে কার্যবিবরণীটি অনুমোদন করিয়ে নেন। আমার কাছে বিষয়টি আইনসিদ্ধ বলে মনে হয়নি। এতে আমার অধিকার খর্ব করা হয়েছে।”
এ নির্বাচন কমিশনারের মতে, সভার বক্তব্য যদি কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন সভায় তার উপস্থিতির ‘কোনো আবশ্যকতা’ থাকে না। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে একটি ‘খারাপ দৃষ্টান্ত’ স্থাপিত হয়েছে।
ইউও নোটের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করতে চাননি মাহবুব তালুকদার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “সিইসি দেশে (হজে গেছেন) ফেরার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।“
এর আগে গত অক্টোবরে বাকস্বাধীনতা খর্বের অভিযোগ https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1550355.bdnews এনে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা বর্জন করেন মাহবুব তালকুদার।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে যোগ দেওয়া পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনে মাহবুব তালুকদার সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েক দফায় আলোচনায় আসেন।