বুধবার বিকালে প্রধান বিচারপতির কাছে থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ কমিশনারের শপথ নেওয়ার পর সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে তাদেরকে এ অভিনন্দন জানান তিনি।
সব স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে বুধবার শপথ নেন নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের এই কমিশনের অধীনেই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নূরুল হুদার এই ইসিতে কমিশনার হিসেবে রয়েছেন সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
শেখ হাসিনা বলেন, “পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনার হিসেবে একজন নারীকে নিয়োগ প্রদান করায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।
“তাদের সকলকে আমি অভিনন্দন জানাই।”
নির্বাচন কমিশনকে সরকার সব ধরনের সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পর গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ সদস্যের তালিকা থেকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশনারদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাছাই কমিটির মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার নিজের প্রজ্ঞায়, স্বীয় বিবেচনায় ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সুগভীর প্রজ্ঞা ও সুবিবেচনার প্রতি আমাদের পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।”