বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আলী হায়দার শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।
Published : 17 Jan 2024, 02:25 PM
চেক প্রতারণার মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ইভ্যালির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল।
ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আলী হায়দার বুধবার শুনানি নিয়ে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
ওই সময়ে রাসেল উপস্থিত থাকলেও তার স্ত্রী শামীমাকে আদালতে দেখা যায়নি।
আদালতের সমনে হাজির না হওয়ায় গত সোমবার রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল এ আদালত। তাদের গ্রেপ্তার করা গেল কি না, সে বিষয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রাসেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “সময়মত হাজির হতে না পারায় ওয়ারেন্ট হয়েছে। এটা জামিনযোগ্য। আদালতে গেলেই জামিন পেয়ে যাব।”
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পর গাড়ি, মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিনের মত পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে সাড়া ফেলে অনলাইন মার্কেট প্লেস ইভ্যালি।
তাদের চটকদার অফারের ‘প্রলোভনে’ অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায়। কিন্তু মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও তাদের অনেকে পণ্য বুঝে পাননি; ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেওয়া টাকাও ফেরত দেয়নি।
এক পর্যায়ে ক্রেতা ও পণ্য সরবরাহকারীদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে ইভ্যালি। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইভ্যালিসহ আরও বেশ কিছু ই কমার্স কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভে নামে গ্রাহকরা।
সে সময় রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়; এ মামলা তারই একটি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইভ্যালির গ্রাহক মো. তানভীর হোসেন ২০২১ সালের ১৩ মার্চ বিজ্ঞাপন দেখে মোটরসাইকেল কেনার জন্য কোম্পানিকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু কোম্পানি নির্ধারিত ৪৫ দিনের মধ্যে মোটরসাইকেল সরবরাহ করেনি।
ইভ্যালি পরে ওই বছর ১৩ সেপ্টেম্বর তানভীরকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার চেক দিলেও তাদের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক তা ফিরিয়ে দেয়। সেই গ্রাহক উকিল নোটিস পাঠিয়েও টাকা ফেরত না পেয়ে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করে দেন।
এরকমই এক গ্রাহকের করা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় সে সময়।
আট মাস কারাবাসের পর সবগুলো মামলায় জামিন পেয়ে ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল কারামুক্ত হন ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা। তার স্বামী রাসেল জামিনে ছাড়া পন গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর।
গ্রাহকদের করা এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিতের জন্য হাই কোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছিল। কিন্ত হাই কোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর গত বছরের ২০ জুন তা খারিজ করে দেন।
পুরনো খবর
ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা