ইভ্যালির জমা-খরচের ‘কূল-কিনারা পায়নি’ আদালত গঠিত পর্ষদ

ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই ছিল প্রতারণা করে অর্থ লোপাট, বলছেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

ফয়সাল আতিকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2022, 07:42 PM
Updated : 22 Sept 2022, 07:42 PM

বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পণ্য বিক্রির নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল আলোচিত ই-কমার্স সাইট ইভ্যালি।

তবে কতজন গ্রাহককে কী পরিমাণ পণ্য বুঝিয়ে দিতে পেরেছিল, তার সঠিক কোনো হিসাব পায়নি আদালতের নির্দেশে গঠিত ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদ।

সদ্য বিদায় নেওয়া এই পর্ষদের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই ছিল প্রতারণা করে অর্থ লোপাট।

গ্রাহক ঠকানোর অভিযোগের মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত দায়-দেনা, কাজের ধরন ও শত কোটি টাকার বকেয়া থেকে উদ্ধারের পথ বের করার উপায় খোঁজার ভার চেপেছিল পুনর্গঠিত পর্ষদের।

সেই পর্ষদের সদস্যরা বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানটির আগের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের কাছে, যিনি কয়েক মাস আগেই কারামুক্ত হন।

ইভ্যালির কর্মকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘ ১১ মাসের প্রচেষ্টায় তৈরি করা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সদ্য বিদায় নেতা পর্ষদের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন, ইভ্যালি ৪ হাজার ৮৬৭ কোটি ৭৫ লাখ ৪১৫ টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে তুলেছিল।

পদত্যাগের আগে বুধবারই নিজেদের প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়ে এসেছে শামসুদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্বাধীন পর্ষদ। আদালতের নির্দেশেই গত বছরের অক্টোবরে তারা ইভ্যালির দায়িত্ব নিয়েছিল।

চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্মের মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলের একটি লেনদেনের তথ্য খুঁজে বের করতে পারলেও ইভ্যালির সার্ভারে ঢুকতে না পারায় সার্বিক চিত্র তুলে আনতে পারেনি বলে জানিয়েছে এই পর্ষদ। তবে ডিসকাউন্টের ব্যবসার নামে গ্রাহকের অর্থ লোপাটের নানা কৌশল দেখতে পেয়েছে তারা।

২০১৮ সালের শেষ দিকে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হওয়া ইভ্যালি ২০২০ সালের মধ্যেই ঝামেলায় জড়িয়ে যায়। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত নিজেদের মতো কাজ টেনে নিতে পেরেছিল তারা।

বিচারপতি মানিক বলেন, “গত দুই বা তিন বছরে ৪৮৬৭ কোটি ৭৫ লাখ ৪১৫ গ্রাহকের কাছ থেকে নিয়েছে। আর ব্যাংক থেকে তুলেছে ৪৭০২ কোটি ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ৬১৭ টাকা।

“এই টাকা কেন তুলল, কোথায় গেল? হিসাব নাই। এই কোম্পানির কোনো অ্যাকাউন্টিং কিংবা ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ছিল না। মানব সম্পদের কোনো পলিসি ছিল না। অভ্যন্তরীণ পলিসি, প্রকিউরমেন্ট পলিসি ছিল না। ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে কোন কাস্টমার থেকে কত টাকা নিয়েছে, তার কোনো হদিস নেই। কাস্টমারদের নামও সেখানে নেই।”

প্রতিবেদনে পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপরেও দোষ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- তাদের বোঝা উচিৎ ছিল যে কোম্পানিটি দেউলিয়া হওয়ার পথে।

২০১৮ সালের শেষ দিকে এক কোটি টাকা নিয়ে অনলাইনে পণ্য বিক্রির ব্যবসায় নেমেছিলেন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল। তিনি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেন, আর স্ত্রী শামীমাকে করেন চেয়ারম্যান।

২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে বেশ ঘন ঘন ফেইসবুক লাইভে এসে অর্ধেক দামে পণ্য বিক্রির নানা লোভনীয় অফার দিতেন রাসেল। বাজার মূল্যের চেয়ে কেন অর্ধেক দামে তিনি গ্রাহকের হাতে পণ্য পৌঁছে দিতে পারবেন, তার কিছু কৌশলও ব্যাখ্যা করতেন তিনি।

অর্ডার পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে গ্রাহকের কাছে অর্ধেক দামে পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সারাদেশে হুলুস্থূল সৃষ্টি করেছিল ইভ্যালি। মূল্যছাড় নিয়ে তার ব্যাখ্যায় প্রলুব্ধ হয়ে ক্রেতারাও হুমড়ি খেয়ে পড়েন, তাতে ইভ্যালির একাউন্ট ভারী হতে থাকে।

পরে টাকা দিয়েও পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ আসতে থাকে। এরপর প্রতারণার মামলায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাসেল ও শামীমা দুজনই গ্রেপ্তার হন। গত এপ্রিলে শামীমা জামিনে মুক্তি পেলেও রাসেল এখনও কারাগারে রয়েছেন।

বিচারপতি মানিক বলেন, “অডিট রিপোর্টে অনেকগুলো সমালোচনামূলক কথা আছে। আমরা বলেছি যে, ইভ্যালি তৈরিই করা হয়েছিল প্রতারণার উদ্দেশ্যে। সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই ব্যবসাটা চালু করা হয়নি। তারা পুরো সময়টা এই প্রতারণা দিয়েই চালিয়েছে।

“হিসাব-নিকাশের কোনো স্বচ্ছতা ছিল না। হাজার হাজার কোটি টাকা লেনদেন করেছে বলে অডিট রিপোর্টে এসেছে। কিন্তু টাকাগুলো কোথায় গেলে এবং কার কাছ থেকে এল, তার কোনো ট্রেস নেই।”

এটা এক ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এমডি রাসেলই ছিল এর সব। সেই ছিল এমডি, সেই ছিল ফাইন্যান্স অফিসার, সেই ছিল সবকিছু। সে একটা হাতে সবকিছু চালাত। অন্য কেউ কিছুই জানত না।

“২০১৮ ও ২০১৯ সালে সে অডিট করেছিল বলে মিডিয়াকে জানিয়েছে। কিন্তু দুটি অডিট রিপোর্টই ভুয়া। কারণ সেই অডিটরদের সাথে আলাপ করে আমরা জেনেছি যে এ ধরনের কোনো অডিট তারা করেনি।”

বিচারপতি মানিক বলেন, “কর্মচারীদের বেতনের ব্যাপারেও প্রতারণা করা হয়েছে। কয়েকজন কর্মচারীর বেতন দেখানো হয়েছে এক লাখ টাকা। কিন্তু তারা স্বীকার করেছে যে তারা পেত ৬০ হাজার টাকা। এদের পয়সা দেওয়া হত নগদ টাকায়, যেটা একটা অপরাধ। কারণ বেতন দিতে হয় চেকের মাধ্যমে, যাতে ইনকাম ট্যাক্সের একটা হিসাব থাকে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছে নগদে।

“ভাউচারে কিছু পয়সা খরচের কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু সেই পয়সাটা কাকে দিল, সেই কথা উল্লেখ নেই। এত হাজার হাজার কোটি টাকা কোথা থেকে এল এবং কোথায় গেল, তার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে এখানে বাকি নেই যে এখানে মানি লন্ডারিং অনেক হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সেটা নিশ্চিত তদন্ত করবেন।”

ইভ্যালি কি এখন টিকে থাকবে?

বর্তমান পরিস্থিতিতে ইভ্যালিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভবপর নয় বলে মনে করে সদ্য এর দায়িত্ব ছাড়া বিচারপতি মানিক।

তিনি বলেন, “ইভ্যালি রক্ষা করা যাবে যদি কেউ বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসে। আমাদের হাই কোর্ট দেউলিয়া ঘোষণা করার সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই দিকে যাইনি। কারণ হচ্ছে, কেউ যদি টাকা পয়সা নিয়ে আগ্রহ করে আসে, তাহলে সেটার সুযোগ রেখেছি।

“তবে এতদিন যেভাবে চালান হয়েছে সেভাবে চালালে এই কোম্পানি চলবে না। কারণ এই কোম্পানি চালানো হয়েছিল স্বেচ্ছাচারী পন্থায়। নিজেদের প্রফিটের জন্য। কোম্পানির মূলধন ছিল মাত্র এক কোটি টাকা। কিন্তু দেখা গেলো হাজার হাজার কোটি টাকা তারা কোম্পানি থেকে খরচ করেছে, বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছে। এর সবই কাস্টমারদের টাকা। অন্যথায় এসব পণ্যে হাত দেওয়ার ক্ষমতা তাদের কখনও হত না।”

আদালতের নির্দেশে গঠিত পর্ষদে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে থাকা সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডিতে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে আসেন।

আদালতের অনুমোদনক্রমে শামীমা নাসরিন এখন ইভ্যালির নেতৃত্বে থাকছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তার মা ফরিদা তালুকদার লিলি, ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ। স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি শাহাব উদ্দিন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইআইটি অনুবিভাগের উপ সচিব কাজী কামরুন নাহার রয়েছেন।

তবে কাজী কামরুন্নাহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার নাম ঘোষণা করা হলেও তিনি বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে এই দায়িত্ব পালনে অপারগ। অচিরেই সেখানে তার পরিবর্তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেকজন প্রতিনিধি যুক্ত হবেন।

সকালে দায়িত্ব হস্তান্তরের খবর শুনে গণমাধ্যমকর্মী ও ইভ্যালির পাওনাদারেরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে রাসেল-শামীমা দম্পতির বেশ কিছু স্বজন দায়িত্ব বুঝে নিতে গেলেও সেখানে উপস্থিত হননি শামীমা। দুপুরের পর মাহবুব কবীর মিলনও চলে যান।

মিলন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি (শামীমা পরে বিকালে এসেছেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আমাকে ফোন করেছিলেন। তবে আমি দুপুরের পরেই চলে এসেছি।”

দুপুরে সাবেক এই আমলা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও নতুন পরিচালনা কমিটির কেউ মুখ খোলেননি। ইভ্যালি কার্যালয়ের ভেতরেই তারা কাচঘেরা একটি কক্ষে বসেছিলেন।

সকাল থেকেই ইভ্যালির কয়েকশ পাওনাদার কার্যালয়ের নিচে জমায়েত হয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেন। তাদের মধ্য থেকে মিলনের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিতেও দেখা যায়। আবার তারা রাসেলের মুক্তিও দাবি করছিলেন।

‘ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজিউমার কো-অর্ডিনেশন’ কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া সাবিক হাসান নামের একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইভ্যালিকে তাদের পুরোনো মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সে কারণে তারা আজকে এখানে আনন্দ করতে এসেছেন। পাশাপাশি তারা সমস্যার সমাধানে রাসেলেরও মুক্তি চান।

আরেকজন ক্রেতা দাবি করেন, তিনি ইভ্যালির কাছে ১৭ লাখ টাকা পাবেন। তবে কেবল রাসেলের মুক্তির মাধ্যেমেই তার সেই টাকা উদ্ধারের পথকে সুগম করতে পারে। ইভ্যালি আগের মতো ব্যবসা চালিয়ে একটু একটু করে টাকা ফেরত দিতে পারে। অথবা নতুন বিনিয়োগকারীদের কেউ বিনিয়োগ করলে সেখান থেকেও দিতে পারেন।

ইভ্যালি এখন কীভাবে চলবে, তা জানার জন্য এদিন কোম্পানির নতুন পর্ষদের কাউকে পাওয়া যায়নি। যদিও রাসেলের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত পাওনাদাররা মনে করেন, কেবল রাসেলই কোম্পানিটির নতুন পথচলার কৌশল নির্ধারণ করতে পারেন।

কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত একজন পাওনাদার বলেন, ইভ্যালি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারি ও পিক অ্যান্ড পে পদ্ধতিতে ব্যবসা করবে। আগামী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে তাদের সার্ভার চালু হবে বলে তারা জানতে পেরেছি।

সদ্য বিদায়ী এমডি মাহবুব কবীর মিলন সাংবাদিকদের বলেন, গত ১১ মাসের দায়িত্বপালনের মাধ্যমে তারা হাই কোর্টের নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন। প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন। এখন আদালতের নির্দেশে নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে। তবে তাদের বেশ কিছু শর্ত ও নির্দেশনা অনুসরণ করে চলতে হবে।

“এই প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া করা হবে কি না- আদালত আমাদের কাছে সেই মতামত চেয়েছিল। পরিস্থিতি অনেক জটিল হলেও আমরা দেউয়াত্বের দিকে যাইনি। বরং এর প্রতিষ্ঠাতাদের আগ্রহকে বিবেচনায় নিয়ে তাদের হাতে পরিচালনার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি।

“তবে আমি এতটুকু বলতে পারি যে, ব্যবসাটা চলবে। চলার মতো অবস্থানে রয়েছে বলেই নতুন বোর্ড দায়িত্ব নিয়েছে। তার মানে ব্যবসা চলার প্রক্রিয়ায় আছে। আদালতের প্রতিবেদনেও কিছু শর্ত সাপেক্ষে ব্যবসাটা চলতে পারে বলে আমরা জানিয়েছি। ইভ্যালির নতুন চিত্র দেখতে পাবেন, এটা ইনশাআল্লাহ আমরা বলতে পারি।”

দায়িত্ব হস্তান্তর করলেও ইভ্যালির খোঁজ-খবর রাখার ইচ্ছার কথাও জানান মাহবুব কবীর।

তিনি বলেন, “আমরা পর্ষদ থেকে বের হয়ে গেলেও আমাদের দায়িত্ব কিন্তু শেষ নয়। যেহেতু দিয়ে যাচ্ছি- ইনারা ভালোভাবে কাজ করতে পারছেন কিনা, এটা দেখার প্রচ্ছন্ন দায়িত্ব কিন্তু আমাদের আছে। বেসিক্যালি আমি তো থাকবোই ইনশাআল্লাহ।

“হয়ত নতুন করে উনারা ফান্ড আনতে পারবেন। তবে সেজন্য সবাইকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে কিছুদিন। সেই সময়টা স্বল্প হতে পারে, দীর্ঘ হতে পারে। একটা সময়ে হয়ত গ্রাহকরা টাকা পাবে অথবা পণ্য পাবে। এখনই যদি সবাই এসে হুলুস্থল করে, তাহলে একটা ম্যাসাকার নামবে। তাতে সবার ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।”

ইভ্যালির ব্যবসাটা সচল করতে হলে কত টাকা প্রয়োজন- এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহবুব কবীর বলেন, “এটা তো আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। কারণ তাদের বার্ডেনগুলো আমরা তুলে আনতে পারিনি। যেহেতু আমরা সার্ভারে একসেস পাইনি। তাদের দায়-দেনা কত আছে, সেটা যেহেতু আমরা তুলে আনতে পারিনি, সেই হিসাবে কত টাকা লাগবে সেটা বলা সম্ভব নয়।”

ইভ্যালিতে মোট ২৫ কোটি টাকার মতো মালামাল পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

এর আগে ইভ্যালির বেশ কিছু গাড়ি বিক্রি ও ভল্টের কয়েক হাজার টাকা উদ্ধার করতে পেরেছিল আদালত গঠিত পর্ষদ। তবে সেই টাকার অধিকাংশই গত ১১ মাসের পরিচালন ব্যয় ও অডিট রিপোর্টে তৈরির কাজে খরচ হয়ে গেছে।