মিথ্যা মামলা দিয়ে ‘ফাঁসানো’ হচ্ছে: পরীমনি

বাসায় মদ ও মাদক রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি দাবি করেছেন, তাকে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে ‘ফাঁসানো হচ্ছে’।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2021, 10:56 AM
Updated : 10 August 2021, 04:51 PM

দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শুনানি শেষে মঙ্গলবার ঢাকার হাকিম আদালত থেকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত জনতার সামনে এমন দাবি করেন পরীমনি।

বনানী থানার এই মাদক আইনের মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে আদালতে হাজির করে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল সিআইডি। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরীমনির সঙ্গে গ্রেপ্তার তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকেও দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

শুনানি শেষে এজলাস থেকে বেরিয়ে লিফটে ওঠার আগে ভিড় করে থাকা উৎসুক জনতাকে উদ্দেশ্য করে পরীমনি বলেন, “আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।”

এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পরীমনির ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গত ৪ অগাস্ট তার বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। পরে পরীমনি ও দীপুকে গ্রেপ্তার করে মাদক আইনে মামলা করা হয়।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, পরীমনির বাসা যেন ‘মিনি বার’, সেখান থেকে থেকে মদের পাশাপাশি ইয়াবা ও এলএসডির মত মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয়েছে।

সেই রাতে বনানীতে চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাড়িতেও অভিযান চলে। সেখান থেকে রাজ এবং তার ব্যবস্থাপক সবুজ আলীকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা ছাড়াও পর্নগ্রাফি আইনে আলাদা মামলা হয়।

ওই দুই মামলায় তাদের মঙ্গলবার মোট ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।  

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে মাদক আইনের মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে নেওয়া হয়। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

রিমান্ড শুনানির সময় পরীমনি চশমার নিচে হাত দিয়ে চোখ মুছছিলেন। আশরাফুল ইসলাম দীপুও কাঁদছিলেন। আর পরীমনির এক সিনেমার প্রযোজক রাজ ছিলেন বিমর্ষ।

এদিন পরীমনির পরনে ছিল সেই বেগুনি কারো চেক শার্ট আর জিনস, যা গ্রেপ্তারের দিন তার গায়ে দেখা গিয়েছিল। পরদিন ওই পোশাকেই তাকে আদালতে তোলা হয়েছিল। 

তার পোশাকের প্রসঙ্গ ধরে মঙ্গলবার শুনানির সময় পরীমনির একজন কনিষ্ঠ আইনজীবী বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “একশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তিনি একই কাপড় পড়ে আছেন।”

তখন পরীমনির পাহারায় থাকা নারী পুলিশ সদস্য এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিচারককে বলেন, এই চিত্রনায়িকা হাজতে অন্য পোশাকে ছিলেন। এজলাসে আসার সময় তিনি পোশাক পাল্টে আগের পোশাক পড়েছেন।

এই রিমান্ড শুনানির সংবাদ সংগ্রহের জন্য আদালতে ভিড় করা সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের হট্টগোলও হয়।

পরীমনিকে যখন সিএমএম কোর্টের সাত তলায় মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে তোলা হয়, তখন কর্তব্যরত একদল সাংবাদিক এজলাসে ঢুকতে গেলে বাধা দেন পুলিশ সদস্যরা।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হলে পরে প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর আহমেদ ফোন করে সাংবাদিকদের প্রবেশের সুযোগ দিতে বলেন।

পুরনো খবর