পিয়াসা ও মৌ ফের রিমান্ডে

ঢাকার বারিধারা থেকে গ্রেপ্তার মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার মরিয়ম আক্তার মৌকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2021, 12:29 PM
Updated : 6 August 2021, 12:29 PM

এর মধ্যে মৌকে মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে একই মামলায় আরও চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

আর পিয়াসাকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে গুলশান, ভাটারা ও খিলক্ষেত থানার মাদক আইনের তিন মামলায় মোট আট দিন রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

আগের রিমান্ড শেষে মৌকে শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানায় মাদক আইনের মামলায় আবারও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক প্রবীর কুমার ঘোষ।

শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জর করেন বলে জানান ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান পালিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু।

আর পিয়াসাকে মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হাজির করে গুলশান থানার মামলায় ১০ দিন, ভাটারা থানার মামলায় ১০ দিন ও খিলক্ষেত থানার মামলায় ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।

শুনানি শেষে বিচারক গুলশান থানার মামলায় দুই দিন, ভাটারা থানার মামলায় তিন দিন ও খিলক্ষেত থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে আবদুল্লাহ আবু জানান।

সবগুলো মামলাতেই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে রিমান্ডের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন।

গত ১ অগাস্ট রাতে বারিধারার ৯ নম্বর রোড এলাকায় পিয়াসার বাসায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সীসাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে তাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে মডেল মৌয়ের অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকেও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। পরে মৌকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন গুলশান থানায় পিয়াসার বিরুদ্ধে এবং মোহাম্মদপুর থানায় মৌয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। ওই দুই মামলায় তাদের তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

তাদের গ্রেপ্তারের দিন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেছিলেন, “গ্রেপ্তার দুই মডেল রাতের রাণী। তারা দিনের বেলায় ঘুমাতেন এবং রাতে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন।

“বাসায় তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলতেন এবং ভিডিও করে রাখতেন। পরে সেসব ভিডিও ও ছবি ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠানোর হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন এবং মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন।”