কয়েকদিনের মধ্যে মামলাগুলোর তদন্ত সংস্থার কয়েক দফা বদলের পর এখন র্যাবও চাইছে মামলাগুলোর তদন্তভার পেতে।
ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর, চিত্রনায়িকা পরীমনি গ্রেপ্তারসহ সাম্প্রতিক অভিযানের ১০টি মামলা তদন্তভার চেয়ে রোববার পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছে র্যাব।
পুলিশের অধীন ‘এলিট ফোর্স’ র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে র্যাবের অভিযানের আলোচিত ১০টি মামলার তদন্ত চেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।”
এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “র্যাব এই পর্যন্ত আলোচিত দুই শতাধিক মামলা তদন্ত করছে। তাই এই আলোচিত মামলাও তদন্ত করতে চেয়ে আবেদন করা হচ্ছে।”
পরীমনি ও হেলেনা জাহাঙ্গীর
আওয়ামী লীগে পদ হারানো হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ২৯ জুলাই তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দুটি ও পল্লবী থানায় একটি মামলা হয়।
পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মরিয়ম আক্তার মৌ নামে কথিত দুই মডেলকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর এবং গুলশান থানায় মাদকের মামলা হয়।
এরপর র্যাব গত মঙ্গলবার ‘ডিজে পার্টি’ আয়োজনের আড়ালে অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শরিফুল হাসান ওরফে মিশু নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে।
তার ‘দেওয়া তথ্যে’ চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে ৪ অগাস্ট গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় দুটি মাদক মামলা ছাড়াও রাজের বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি আইনে আরেকটি মামলা হয়।
মামলা হলে থানা পুলিশই প্রথম তদন্ত করে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। কিন্তু ৫ অগাস্ট পরীমনি ও রাজের বিরুদ্ধে করা মামলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্ত করতে দেওয়া হয়। কিন্তু পরদিনই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে।
এর মধ্যে পরীমনি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে ডিবির একজন কর্মকর্তাকে বদলিও করা হয়।
পরীমনি, পিয়াসা, মৌ, রাজ, শরিফুল হাসান মিশুর বিরুদ্ধে একটি করে মামলা এবং হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার তদন্তভার এখন সিআইডির কাছে।
দায়িত্ব পাওয়ার পর তারা পরীমনি, হেলেনার বাড়িতে পুনরায় অভিযানও চালায়।
আসামিদের হেফাজতে নিয়ে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক রোববার সাংবাদিকদের বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দিয়েছেন আসামিরা। সেসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।