নিজেকে নতুন করে গড়ে নেওয়া তাসকিন আহমেদই যে এখন বাংলাদেশের পেস আক্রমণের নেতা, তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই। গতিময় এই পেসারের অনুপস্থিতি তাই দলের জন্য বড় এক ধাক্কা। আঙুলের চোটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা হবে না পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার পথে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজেরও। তাদের অভাব অনুভব করলেও অধিনায়ক মুমিনুল হক আশাবাদী, যারা সুযোগ পাবেন তারাও ভালো করবেন।
Published : 14 May 2022, 04:50 PM
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের মাঝপথে ডান কাঁধে চোট পেলেও বোলিং চালিয়ে যান তাসকিন। ওই টেস্টের পর অবশ্য তাকে ফিরতে হয় দেশে। এরপর থেকে খেলার বাইরেই আছেন তিনি। লন্ডনে চিকিৎসক দেখিয়ে দুয়েক দিনের মধ্যেই ফেরার কথা তার। আপাতত অস্ত্রোপচার লাগছে না, ঢাকায় ফেরার পর শুরু হবে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
মুমিনুল হকের অধিনায়কত্বে টেস্টে বেশ সফল তাসকিন। ৬ টেস্টে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। তবে পরিসংখ্যানের এই হিসেবে ফুটে উঠছে না, এই সময়ে কতটা ভালো বোলিং করেছেন তিনি। নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের অনভিজ্ঞ পেস আক্রমণের। এর বাইরে অন্য পেসারদের চেয়ে তার ব্যাটিংয়ের হাতও বেশ ভালো।
শুরুর হতাশার সময় পেরিয়ে ব্যাট হাতেও অবদান রাখছেন মিরাজ। বোলিংয়ে হয়ে উঠেছেন আরও পরিণত। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বেশ কিছু টেস্টে খেলেছেন তিনি পরিপূর্ণ অলরাউন্ডারের মতোই। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলার সময় আঙুলে চোট পেয়ে প্রথম টেস্টের দল থেকে ছিটকে গেছেন মিরাজ।
“নিউ জিল্যান্ডে যখন জিতলাম, ওদের অনেক অবদান ছিল। অবশ্যই এই দুজনকে মিস করব। একজন ভালো ব্যাটিংও করে, অলরাউন্ডার। আরেকজন ভালো বল করে। অবশ্যই তাদের অভাব অনুভূত হবে। আমার কাছ মনে হয়, ওদের না থাকা অন্যদের জন্য সুযোগ। কারণ, ওরা এত ভালো করছিল যে অন্যরা সুযোগ পাচ্ছিল না। এখন ওদের জায়গায় যারা খেলবে, আপনাদের ও আমাদের কাছে বার্তা দেবে যে ওরাও ভালো অবস্থায় আছে।”
“(যারা আসবে দলে) ওদের ওপর অবশ্যই বিশ্বাস আছে। অনেক সময় সাকিব ভাইও ছিল না, কিন্তু যে খেলেছে, তার ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। যে খেলবে, তার ওপর বিশ্বাস না রেখে আমি পারব না কখনোই। যারা আছে, তাদের প্রতি আমার পুরো সমর্থন আছে, টিম ম্যানেজমেন্টের আছে, আশা করি আপনাদেরও থাকবে।”
মিরাজ চোট পাওয়ার পর অফ স্পিনার নাঈম হাসানকে নেওয়া হয় দলে। পরে যোগ করা হয় অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে। বোলিংয়ে মোসাদ্দেকের চেয়ে অনেক এগিয়ে নাঈম। ব্যাটিংয়ের হাতও তার খারাপ নয়। তাহলে কি মিরাজের জায়গায় নাঈমই খেলছেন?
“ও খেলবে কী খেলবে না, এটা কালকে বোঝা যাবে। খেললে ও ওর ভূমিকা জানে, ওকে কী করতে হবে না করতে হবে। ওকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, করতে পারবে আশা করি।”