টানা দুই হারের পর জয়ের পথে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস।
Published : 29 Apr 2024, 12:32 AM
আগের তিন ম্যাচে দুই হাতে রান বিলিয়ে দেওয়া মুস্তাফিজুর রহমান অবশেষে ফিরলেন স্বরূপে। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দুটি শিকার ধরলেন বাঁহাতি পেসার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে গুঁড়িয়ে জয়ের পথে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস।
আইপিএলে রোববার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের জয় ৭৮ রানে। ২১২ রানের পুঁজি গড়ে হায়দরাবাদকে ১৩৪ রানে গুটিয়ে দেয় তারা।
২.৫ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। আসরে ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় জাসপ্রিত বুমরাহ ও হার্শাল প্যাটেলের সঙ্গে যৌথভাবে চূড়ায় আছেন বাংলাদেশের তারকা।
গত তিন ম্যাচের প্রতিটিতে একটি করে উইকেট পেলেও তিনি রান দিয়েছিলেন যথাক্রমে ৫৫, ৪৩ ও ৫১।
হায়দরাবাদের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের সফলতম বোলার অবশ্য তুষার দেশপান্ডে। ৩ ওভারে ২৭ রানে ৪ উইকেট নেন ভারতীয় এই পেসার।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে পরপর দুই বলে ট্রাভিস হেড ও আনমলপ্রিত সিংকে ফিরিয়ে চেন্নাইকে জোড়া সাফল্য এনে দেন তুষার। নিজের পরের ওভারে তিনি বিদায় করে দেন অভিষেক শার্মাকে।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথমবার যখন বল হাতে পান মুস্তাফিজ, হায়দরাবাদের রান তখন ৩ উইকেটে ৪৫।
তার প্রথম বল অফ সাইডের বাইরে পেয়ে চার মারেন এইডেন মারক্রাম। পরের পাঁচ বল অবশ্য বেশ ভালো করেন মুস্তাফিজ। এই ওভারে আসে সব মিলিয়ে ৮ রান।
আবার তিনি বোলিং পান দশম ওভারে, ৪ উইকেট হারিয়ে হায়দরাবাদের রান তখন ৭৩।
এবার মুস্তাফিজের প্রথম দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি হাইনরিখ ক্লসেন। পরের চার বলে আসে কেবল ৫ রান।
পরের ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে দারুণ এক ইয়র্কারে মারক্রামকে বোল্ড করে দেন শ্রীলঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানা।
হায়দরাবাদ আশা জাগাতে পারেনি কখনই। ষোড়শ ওভারে ক্লসেনকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় শিকার ধরেন পাথিরানা। পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরের শিকার আব্দুল সামাদ। প্যাট কামিন্সকে বিদায় করে চতুর্থ উইকেটের দেখা পান তুষার।
১৯তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে প্রথম বলে চার হজম করেন মুস্তাফিজ। পরের বলে শাহবাজ আহমেদকে ফিরিয়ে দেন তিনি। স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ব্যাটসম্যান। ইনিংসে পঞ্চম ক্যাচ নেন ড্যারিল মিচেল।
পরের দুই বলে দুটি রানের পর পঞ্চম বলে জয়দেব উনাদকাটকে ফিরিয়ে হায়দরাবাদের ইনিংস গুটিয়ে দেন মুস্তাফিজ।
এদিন চেন্নাইকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে ব্যাট হাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। অল্পের জন্য টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাননি তিনি। ৫৪ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৯৮ রান। মিচেল ৩২ বলে ৫২ ও শিভাব দুবে ২০ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে দলের স্কোর দুইশ পার করেন।
টানা দুই হারের পর জয়ের স্বাদ পেল চেন্নাই। ৯ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠেছে শিরোপাধারীরা।