টানা তিন জয়ের পর পরপর দুই ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ করল নিগার সুলতানার দল।
Published : 19 Apr 2025, 05:25 PM
হুট করেই যেন উইমেন’স বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ছন্দ হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতায় দুর্দান্ত শুরুর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারা দলটি পারল না শেষটাও রাঙাতে। ব্যাটিং ও বোলিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের বিপক্ষেও পেল হারের তেতো স্বাদ।
লাহোরে শনিবার বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারায় স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষের ১৭৮ রান ৬২ বল বাকি থাকতেই পেরিয়ে যায় দলটি।
পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে বাছাই পর্বে সেরা হয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে বৈশ্বিক আসরে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বাংলাদেশের। নিগার সুলতানার দলকে টপকে বিশ্বকাপে খেলতে হলে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে অভাবনীয় কিছু করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দুই নম্বরে থাকা বাংলাদেশের রান রেট +০.৬৩৯। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট এখন ৪, রান রেট -০.২৮৩।
গত চার ম্যাচেই দুইশ ছাড়ানো বাংলাদেশের ব্যাটাররা পাকিস্তানের বিপক্ষে পারেননি জ্বলে উঠতে। ৫ চারে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন রিতু মনি। চারটি চারে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ফাহিমা খাতুন। আর কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি।
৮টি চারে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া মুনিবা আলি পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার। দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরা আলিয়া রিয়াজ ১ ছক্কা ও ৬টি চারে করেন ৫২ রান।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ৭ বলে খেলে রানের খাতা খুলতে না পারা ফারজানা হক তৃতীয় ওভারে বোল্ড হন ফাতিমা সানার বলে। পরপর দুই ওভারে বিদায় দেন দিলারা আক্তার ও নিগার সুলতানা।
চাপে পড়া দলকে বেশিক্ষণ টানতে পারেননি ছন্দে থাকা শারমিন আক্তার। ৪টি চারে ২৪ রান করে তিনি ফিরলে ভাঙে রিতুর সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি। পরে নাহিদা আক্তারকে নিয়ে আরেকটি ৪৪ রানের জুটি গড়েন রিতু।
মন্থর ব্যাটিংয়ে ৫১ বলে ১৯ রান করেন নাহিদা। পঞ্চাশের কাছে গিয়ে কয়েক ওভার পর ফিরে যান রিতুও। এরপর ফাহিমার ব্যাটে ১৮০ রানের কাছে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় বলেই শাওয়াল জুলফিকারকে এলবিডব্লিউ করে দলকে ভালো শুরু এনে দেন মারুফা আক্তার। কিন্তু এরপর আর প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। সিদ্রা আমিনকে নিয়ে ৮০ রানে জুটিতে পাকিস্তানকে জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে নেন মুনিবা।
৪টি চারে ৩৩ রান করা সিদ্রাকে কট বিহাইন্ড করে তাদের যুগলবন্দী ভাঙেন রাবেয়া খান। একটা সময় মনে হচ্ছিল মুনিবা ও আলিয়ার জুটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে পাকিস্তান।
কিন্তু ৬৭ বলে ফিফটি করা মুনিবা পারেননি শেষ করে আসতে। তাকে ফিরিয়ে ৭৪ রানের জুটি ভাঙেন নাহিদা। ৬৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন আলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ১৭৮/৯ (দিলারা ১৩, ফারজানা ০, শারমিন ২৪, নিগার ১, রিতু ৪৮। নাহিদা ১৯, ফাহিমা ৪৪*, স্বর্ণা ২, সুমনা ৬, রাবেয়া ২, মারুফা ৬*; ফাতিমা ১০-০-৪৫-২, সাদিয়া ১০-১-২৮-৩, রামিন ১০-০-২৫-১, ডায়ানা ১০-১-৪৫-২, নাস্রা ১০-১-৩৪-১)
পাকিস্তান: ৩৯.৪ ওভারে ১৮১/৩ (শাওয়াল ২, মুনিবা ৬৯, সিদ্রা ৩৩, আলিয়া ৫২*, নাটালিয়া ১৩*; মারুফা ৬-০-২৭-১, নাহিদা ১০-০-৩৬-১, সুমনা ৩-০-২৪-০, রাবেয়া ১০-১-২৫-১, ফাহিমা ৯-০-৪৭-০, রিতু ১.৪-০-১৬-০)
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: মুনিবা আলি