সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান মুমিনুলের ব্যাটিংয়ে করুণ চিত্রই ফুটিয়ে তুলছে। সবশেষ ১২ ইনিংসে তার ফিফটি একটি। জানুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ড সফরে স্মরণীয় জয়ের পথে খেলেছিলেন ৮৮ রানের ইনিংস। বাকি ১১ ইনিংসের ৯টিতেই তিনি আউট দু অঙ্ক ছোঁয়ার আগে, শূন্য রানে ৩ বার।
সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তার চার ইনিংস ০, ২, ৬ ও ৫। সব মিলিয়ে এটা স্পষ্ট, তার ‘ব্যাড প্যাচ’ বা বাজে সময় চলছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যদিও মুমিনুল বারবারই বলেছেন, নিজের ফর্ম নিয়ে মোটেও দুর্ভাবনা নেই তার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের আগেও সংবাদ সম্মেলনে তার কণ্ঠে একই সুর।
“আমি বিশ্বাস করি না যে আমি ব্যাড প্যাচে আছি। বিশ্বাস করলে আমি এখান থেকে বের হতে পারব না। গত ৫-৬ দিন ধরে যেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, সবাই যেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমি দল নিয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসী। সবাই সেরাটা দিতে পারবে বলে বিশ্বাস আমার।”
অধিনায়কের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথাটি ক্রিকেটে বা যে কোনো খেলায় বহুল প্রচলিত। অধিনায়ক পারফর্ম করলে যেমন দলকে উজ্জীবিত করার কাজটি সহজ হয়, তেমনি দলের সাফল্যের সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকটা।
নিজের বাজে ফর্মের গভীরে যেতে অনাগ্রহী মুমিনুল মেনে নিচ্ছেন না নেতৃত্বের সেই চিরন্তন বাস্তবতাও।
“আমার কাছে এটা কখনও মনে হয় না যে আমি ভালো খেললে দল ম্যাচ জিতবে, আমি খারাপ করলে হারবে। তাহলে অন্য খেলোয়াড়রা কী? ঠিক আছে? আমার কাছে মনে হয় না, আমার খারাপ খেলাটা কোনো ব্যাপার। কোনো ম্যাটার করে না এটা।”
মুমিনুলের ফর্মে ফেরার ভালো সুযোগ অবশ্য এবার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে, যে মাঠে তার রেকর্ড চোখধাঁধানো। ক্যারিয়ারে ১১ টেস্ট সেঞ্চুরির ৭টিই করেছেন এই মাঠে। এখানেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ সালে করেছিলেন জোড়া সেঞ্চুরি। গৌরবের সেই অতীত যদি এবার ফুটে ওঠে বর্তমানে, মুমিনুলের দুঃসময়ের মেঘও তাহলে কেটে যেতে পারে খানিকটা।