এবার মুমিনুলও বললেন সময় বুঝে রিভার্স সুইপ খেলার কথা

মুমিনুল হক অনুরোধ করেছিলেন, মুশফিকুর রহিমের রিভার্স সুইপ নিয়ে বেশি কথা না বলতে। কিন্তু তিনি চাইলেই তো আর কথার ঘোড়ার লাগাম দেওয়া যায় না। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে মুশফিকের সেই আলোচিত রিভার্স সুইপের রেশ ফিরে এলো শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেও। এবার অবশ্য নিজের আগের বক্তব্য থেকে সরে এলেন মুমিনুল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2022, 01:06 PM
Updated : 14 May 2022, 03:42 PM

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের তৃতীয় দিনে ওই শট খেলেন মুশফিক। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তখন মাত্রই ফিফটি স্পর্শ করেছেন। দলের ভরসা হয়ে তিনি টিকে ছিলেন উইকেটে। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির চার মিনিট আগে আচমকা রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। এরপর আর বেশি দূর এগোতে পারেনি দলের ইনিংস।

দলের সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলা ক্রিকেটারের অমন শটে তখন সমালোচনা হয়েছিল প্রবল। তবে সংবাদ সম্মেলনে ওই শটের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সমর্থন জানিয়েছিলেন মুমিনুল।

এরপর পেরিয়ে গেছে এক মাসের বেশি সময়। এবার সিরিজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের মাঠে। সময়ের প্রবাহে বয়ে এসেছে মুশফিকের রিভার্স সুইপের প্রসঙ্গও। কোচ রাসেল ডমিঙ্গো শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন, এই শট মুশফিকের কতটা প্রিয়। তবে পরিস্থিতি বুঝে শটটি খেলার তাগিদ দেন তিনি।

পরদিন সংবাদ সম্মেলনে একই কথা মুমিনুলের কণ্ঠেও। দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি ওই শট নিয়ে মুশফিকের পাশে থাকলেও এবার বললেন উল্টো কথা।

“দেখুন, এর আগে কিন্তু আমি ‘সাপোর্ট দেই’ কথাটা বলিনি। আমি বলেছি, পরিস্থিতি বুঝে খেলার। ওই সময়ে ওই পরিস্থিতিতে উনি (মুশফিক) যদি মনে করেন ঠিক হয় নাই, তাহলে উনি বুঝতে পারবেন। এটা আমার বলার দরকার নেই। হলে সবাই বুঝতে পারবে, উনি শিখতে পারেননি।”

‘সাপোর্ট’ দেওয়ার কথা এখন অস্বীকার করলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি পরিষ্কারভাবেই এই শব্দ উচ্চারণ করেই সমর্থন করেছিলেন মুশফিকের শটকে।

“ওয়ানডে, টেস্ট, টি-টোয়েন্টি, যেসব জায়গায় খেলা হয়, উনি কিন্তু… আমি জানি না, আপনারা হয়তো খুব বেশি কথা বলতেই পারেন। কিন্তু রিভার্স সুইপ তো ক্রিকেটের একটা শট, তাই না? ক্রিকেটের বাইরের শট তো নয়। এই শট তো খেলতেই পারেন। উনার গেম প্ল্যান-এ থাকলে তো খেলবেই। আর এমন নয় যে এটা খেলে উনি রান করেননি বা খুব অসফল। আমার কাছে মনে হয় উনাকে সাপোর্ট করা উচিত এবং আমি সাপোর্ট করি।”

সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ককে অনেক সময় দায়িত্বের খাতিরেই সতীর্থদের পাশে থাকতে হয়। কিন্তু ড্রেসিং রুমে তিনি বার্তা কতটা দিয়েছিলেন বা কতটা দিতে পারেন, এই প্রশ্নও উঠল। মুমিনুল অবশ্য এটা করেন বলেই দাবি করলেন।

“এটা আগেও পরিষ্কার করেছি আপনাদের। এখানে যেটাই বলি, ড্রেসিং রুমে গিয়ে (অন্য কিছু) বলতে পারি।”