আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার পুলিশের করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জসিমউদ্দীন জানান, শুনানি নিয়ে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী এ সময় ছিলেন না।
রিমান্ড আদেশ পাওয়া ১০ জন হলেন- শাহিন আলম, শাহ আলম, বিএম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, খায়রুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ, আব্দুস সবুর ও রশিদুন্নবী।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই আশ্রাব আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রিমান্ড আবেদনে বলা হয়- পুনরায় আসামিদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পলাতকদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে। তাদের অবস্থান, নাম-ঠিকানা সংগ্রহ, সংগঠনের অফিসের ঠিকানা, দলীয় নেতাদের পদ-পদবী, সদস্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কিংবা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ আছে কি না- ইত্যাদি জানতে ১০ আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড প্রয়োজন।
এর আগে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তারা ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য দেওয়ায় অন্যদের গ্রেপ্তার করা যায়নি বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
গত ২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের দিকে স্প্রে মেরে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেয় তাদের সহযোগীরা। সেদিন তাদের আদালতে আনা হয়েছিল মোহাম্মদপুর থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলার শুনানিতে।
ওই মামলায় আসামির তালিকায় আমিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির নামও ছিল। জামিনে থাকা এ দুজন সেদিন আদালত প্রাঙ্গণেই ছিলেন। জঙ্গি ছিনতাই অভিযানে ‘প্রধান সমন্বয়েকর’ ভূমিকা পালন করা মেহেদীকে তিন দিন পর ২৩ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার চার দিন পর আমিনও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
অন্যদিকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার রাতেই ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। সেদিনই এই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। পুলিশের আবেদনে ফের তাদের রিমান্ডে পাঠানো হল।
আরও খবর