জঙ্গি ছিনতাই মামলার এক আসামির আত্মসমর্পণ

এই আসামি সেদিন আদালতে এসেছিলেন মামলার হাজিরা দিতে, নতুন মামলায় তাকে পাঠানো হয়েছে রিমান্ডে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2022, 01:21 PM
Updated : 27 Nov 2022, 01:21 PM

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের মামলার এক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

ঈদি আমিন নামে ওই আসামি রোববার আত্মসমর্পণ করলে তাকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ওই মামলায় চার দিন পুলিশ রিমান্ডের আদেশ হয়।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকার আদালত চত্বর থেকে আনসার আল ইসলাম সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নেওয়ার দিন আমিনও ছিলেন আদালতে।

মোহাম্মদপুর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় জামিনে থাকা আমিনসহ দুজন সেদিন আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন।

প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মইনুল ও সোহেলও ওই মামলার আসামি। সেই মামলার শুনানিতে তাদের গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

মইনুল ও সোহেলকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা পুলিশের উপর হামলা করে ও পেপার স্প্রে ছুড়ে দুজনকে ছাড়িয়ে নিয়ে মোটর সাইকেলে পালিয়ে যায়।

Also Read: যেভাবে ছিনতাই ২ জঙ্গি

Also Read: পলাতক জিয়ার নির্দেশনায় জঙ্গি ছিনতাই: পুলিশ

Also Read: জঙ্গি ছিনতাইয়ে ‘জড়িত’ একজন গ্রেপ্তার

Also Read: জঙ্গি ছিনতাই: মেহেদী রিমান্ডে

Also Read: জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ‘প্রধান সমন্বয়ক’ ছিলেন মেহেদী: সিটিটিসি

জঙ্গি ছিনতাইয়ের এই ঘটনায় মোট ২০ জনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। আসামির তালিকায় সেদিন আদালতে আসা আমিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির নামও ছিল।

ঘটনার তিন দিন পর ২৩ নভেম্বর পুলিশ মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে। তার চার দিন পর আমিনও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

ঢাকার মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আত্মসমর্পণের পর আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

কোতোয়ালি থানায় করা ওই মামলায় আমিনকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রবিউল হুসাইন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আশ্রাফ আলী জামিনের বিরোধিতা করেন।

শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন জামিন আবেদন নাকচ করে চার দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।

মেহেদীকে গ্রেপ্তারের পর সাত দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।