ছয়টি পরিবর্তন, চারটি নতুন মুখ, দুজনের ফেরা। প্রশ্ন-যুক্তি-তর্কের তাই শেষ নেই। তবে সবচেয়ে কৌতুহল জাগানিয়া ও প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত সম্ভবত এটিই, আবার কেন শুভাগত হোম?
Published : 16 Oct 2016, 08:45 PM
স্বপ্ন পূরণের আগে শুধু শিখতে চান নুরুল
টেস্ট দিয়েই শুরু করতে চেয়েছিলেন মিরাজ
সাব্বিরকে টেস্ট একাদশেও ভাবছেন কোচ
‘ক্লাস ক্রিকেটার’ সৌম্যর উপর কোচের আস্থা
‘মিরাজের দেওয়ার আছে অনেক কিছু’
এবার এটির উত্তর লুকিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপে। ইংল্যান্ড দলের সেরা একাদশে চার জন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের থাকা নিশ্চিত, অ্যালেস্টার কুক, বেন স্টোকস, গ্যারি ব্যালান্স ও মইন আলি। বেন ডাকেট সুযোগ পেলে ও বাঁহাতি স্পিনার জাফর আনসারিও খেললে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হবেন ছয়জন।
দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানালেন, ইংল্যান্ডের লাইন আপ দেখেই তারা শুভাগতকে ফিরিয়েছেন।
“অনেক দিন ধরে আমরা টেস্ট খেলি না। কিছু ক্ষেত্রে আমরা পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করেছি, কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা। ইংল্যান্ড দলের দিকে যদি তাকান, ওদের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অনেক। অফ স্পিনার খুব জরুরি হয়ে পড়েছিল। আমরা চেয়েছি দুজন অফ স্পিনার রাখতে। এজন্যই শুভাগতকে ফেরানো হয়েছে।”
গত দুই মৌসুমেও বাংলাদেশের টেস্ট দল নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন ছিল শুভাগতকে নিয়েই। পারফরম্যান্স নেই, তবু খেলানো হয়েছে একের পর এক টেস্ট। ৭ টেস্টে তার উইকেট ৮টি, ব্যাট হাতে অর্ধশত মাত্র একটি।
এই পরিসংখ্যানের চেয়েও অস্থিরতা ছিল তার ‘পরিচয়’ নিয়ে টানাহেঁচড়ায়। শুভাগত বরাবরই নিজেকে মনে করেন ব্যাটসম্যান, যিনি খানিকটা অফ-স্পিন করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচক কমিটি ও টিম ম্যানেজমেন্ট কখনও তাকে বলেছে ব্যাটিং অলরাউন্ডার, কখনও স্পিনিং অলরাউন্ডার, কখনও শুধুই অফ স্পিনার।
যদিও সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজের দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাতেই বেশ সফল শুভাগত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই সময়টায় ১২ ম্যাচে অর্ধশতক করেছেন ৮টি। ৪৮.৫৭ গড়ে করেছেন ৬৮০ রান। কিন্তু ১২ ম্যাচে উইকেট মাত্র ২৫টি।
নির্বাচকরা তবু তাকে ফেরালেন স্পিনার হিসেবে। সেটির যথার্থতা প্রমাণ করতে পারে কেবলই সময়!