রোববার এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচক কমিটি প্রথম টেস্টের দল ঘোষণার পর বোঝা গেল রহস্যটা। ইচ্ছে করেই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ককে আড়ালে রেখেছে বাংলাদেশ।
দল ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মিরাজ জানান, টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের হয়ে অভিষেকের কথা ভেবেছিলেন তিনি। জানান, সেই স্বপ্ন পূরণ হলে তা হবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার চেয়েও বড় কিছু।
বেশিরভাগ খেলোয়াড় যেখানে টি-টোয়েন্টির চাকচিক্যে এই সংস্করণে খেলতে বিভোর, সেখানে তরুণ মিরাজের মানসিকতা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য আশার ব্যাপার তো বটেই। মাঠের পারফরম্যান্সেও দেশের ক্রিকেটকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ও এই অলরাউন্ডারের কণ্ঠে।
“আমি সব সময়ই চেয়েছিলাম টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করতে। সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে। খেলার সুযোগ মিললে নিজের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।”
মিরাজ জানান, মাঠে থাকতেই বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ তাকে দলে থাকার কথা জানিয়েছিলেন।
“দল চায়নি আমি ওদের কাছে পরিচিত হয়ে যাই। কিছুটা রহস্য থাকুক, এটাই তারা চেয়েছেন।”
ইংল্যান্ড দলে অনেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকায় অফ স্পিনার হিসেবে মিরাজের থাকার সম্ভাবনা বাতাসে ভাসছিল। এই তরুণ জানান, অতিথি ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কাজ আগেই শুরু করেছেন তিনি। এখন অপেক্ষা মাঠে নামার। সেখানে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও নিজেকে মেলে ধরতে চান তিনি।
“আমি দলে এসেছি মূলত অফ স্পিনার হিসেবে। তবে দলের জন্য অবশ্যই ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়েও অবদান রাখতে চাইব।”
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানান, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেই দলে এসেছেন মিরাজ।
“অনূর্ধ্ব-১৯ এবং ঘরোয়া ক্রিকেটেও যথেষ্ট ভালো খেলেছে। সে হিসেব সুযোগ দিয়েছি। আমাদের মনে হচ্ছে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ওর কাছ থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আছে। তারও দেওয়ার আছে অনেক কিছু। সে জন্যই তাকে দলে নেওয়া। দলে যখন নিয়েছি অবশ্যই প্রস্তুত।”
মিরাজের কণ্ঠেও একই সুর, সুযোগ মিললে তিনি নিজেকে উজাড় করে দেবেন।