খুব বেশি দিন হয়নি, সাব্বিরের পরিচয় ছিল শুধুই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। সেখান থেকে এই ব্যাটসম্যান এগিয়েছেন এক্সপ্রেস গতিতে। ওয়ানডে দলে জায়গা পাকা করেছেন। মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার থেকে এখন উঠে এসেছেন তিন নম্বরে।
এগিয়ে চলার ধারাবাহিকতায় এবার সুযোগ পেলেন ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে; একজন ক্রিকেটারের সামর্থ্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা হয় যেখানে, সেই টেস্ট ক্রিকেটে।
প্রথম শ্রেণির পরিসংখ্যান উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। ৮ বছরে ম্যাচ খেলতে পেরেছেন মাত্র ৩৫টি। তিনটি সেঞ্চুরি, গড় ৩৪.৭১; উইকেট ১১টি। এই পারফরম্যান্স টেস্ট দলে তাকে ডাকার দাবি জানায় না। সেটি হয়ওনি। সীমিত ওভারে সাব্বিরের পারফরম্যান্স আর ব্যাটিং অ্যাপ্রোচেই সাদা পোশাকের দলে জায়গা হয়েছে তার।
দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহের কণ্ঠে উঠে এল সাব্বিরের সামর্থ্যে আস্থার প্রতিফলন।
“এখন আমাদের হাতে অনেক অপশন। একটা জায়গার জন্য অনেক ক্রিকেটার থাকা ভালো। সাব্বিরকে নিয়ে আমরা সিরিয়াসলি ভাবছি। দেখছি কিভাবে তাকে একাদশে জায়গা দেওয়া যায়।”
গত আড়াই বছরে মাত্র তিনটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন সাব্বির। তবে সেই তিন ম্যাচের একটিতে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে বেঙ্গালুরুতে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৩১ বলে ১২২ রানের দারুণ এক অপরাজিত ইনিংস।