দুটি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষের মধ্য থেকে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। ১৯১৬ সালে এর তত্ত্ব প্রথম দিয়েছিলেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন।
Published : 23 Oct 2024, 04:02 PM
মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ শনাক্ত করার মিশনের জন্য নতুন এক টেলিস্কোপ প্রোটোটাইপ দেখিয়েছে নাসা।
টেলিস্কোপটি ‘লেজার ইন্টারফেরো স্পেস অ্যান্টেনা (লিসা)’ মিশনের অংশ, যা নাসার সঙ্গে যৌথভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)’।
মিশনটির লক্ষ্য হল, তিনটি মহাকাশযানকে এমন এক ত্রিভুজাকার কক্ষপথে অবস্থান করানো, যেখানে এর প্রতিটি পাশের দূরত্ব প্রায় ২৫ লাখ কিলোমিটার।
পৃথিবী যে কক্ষপথ দিয়ে সূর্যের চারপাশ প্রদক্ষিণ করে, সে পথ ধরেই এগোবে মহাকাশযান তিনটি। এর মধ্যে প্রতিটি মহাকাশযানে দুটি করে টেলিস্কোপ থাকবে, যেগুলো একে অপরকে ট্র্যাক করবে ইনফ্রারেড লেজার রশ্মি দিয়ে। এ রশ্মিগুলো এক মিটারের এক লাখ কোটি ভাগের অংশ পর্যন্ত পরিমাপ করতে পারে।
দুটি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষের মধ্য থেকে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। ১৯১৬ সালে এর প্রথম তত্ত্ব দিয়েছিলেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। এর প্রায় একশ বছর পর তা শনাক্ত করেছে ‘ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন’, ‘ক্যালটেক’ এবং ‘এমআইটি’র ‘লেজার ইনফারনোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েব অবজার্ভেটরি (লিগো) নামের যৌথ উদ্যোগটি।
মহাকাশযান তিনটি যখন নিজেদের বৈশিষ্ট্যগত প্যাটার্ন থেকে সরে আসবে, তখন এ মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করা যাবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট।
লিসা মিশনটি শুরু হতে পারে ২০৩০-এর দশকের মাঝামাঝিতে। আর এর মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করার সক্ষমতা থেকে মহাকর্ষ নিয়ে আমাদের প্রচলিত বোঝাপড়ায় ‘বড় অগ্রগতির’ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
এর মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক হোল ও বিগ ব্যাংয়ের মতো ঘটনাও, যেগুলো নিয়ে অন্য কোনো উপায়ে গবেষণা করা জটিল বলে উল্লেখ রয়েছে মিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।