এরইমধ্যে লঞ্চপ্যাডের আশপাশের স্থানীয় রাস্তাগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া, মেক্সিকো উপসাগরের সামুদ্রিক জীবের ওপর যেন এর ক্ষতিকারক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে স্পেসএক্স।
Published : 04 Jun 2024, 04:20 PM
প্রাসঙ্গিক সকল অনুমোদন নিশ্চিত করার পর স্টারশিপ রকেটের পরবর্তী উৎক্ষেপণের জন্য ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’ স্পেসএক্স --এমনই দাবি কোম্পানিটির মালিক ইলন মাস্কের।
১২০ মিটার উঁচু এ মহাকাশযানটি এখন পর্যন্ত তৈরি করা সবচেয়ে বড় রকেট, যা বুধবার উৎক্ষেপণ হতে পারে টেক্সাসে অবস্থিত স্পেসএক্স-এর ‘স্টারবেইজ’ ফ্যাসিলিটি থেকে। মঙ্গল গ্রহে স্থায়ী বসতি নির্মাণে মাস্কের যে লক্ষ্যমাত্রা, তা অর্জনের ক্ষেত্রে এ পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এর আগে স্টারশিপের যে তৃতীয় টেস্ট ফ্লাইটে রকেটটি কক্ষপথে পৌঁছালেও তা ফিরে আসার সময় ধ্বংস হয়ে যায়।
গত সপ্তাহে স্টারশিপের ‘ওয়েট ড্রেস রিহার্সাল’ পরীক্ষা শেষ করেছে স্পেসএক্স, যেখানে এর বুস্টারে ভরা হয়েছিল তরল অক্সিজেন ও তরল মিথেন, যা আসন্ন উৎক্ষেপণের জ্বালানী হিসেবে কাজ করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
উৎক্ষেপণের জন্য এরইমধ্যে লঞ্চপ্যাডের আশপাশের স্থানীয় রাস্তাগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া, মেক্সিকো উপসাগরের সামুদ্রিক জীবের ওপর যেন এর ক্ষতিকারক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে স্পেসএক্স।
নতুন এ উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টার জন্য মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)’ লাইসেন্স দিয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে স্পেসএক্স নিজস্ব ওয়েবসাইটে বলেছে, উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টাটি হতে পারে বুধবার, যা এখনও ‘নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে’।
এবারের প্রচেষ্টায় স্টারশিপ রকেটের পাশাপাশি এর ‘সুপার হেভি বুস্টার’টিও ভূপৃষ্ঠে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে স্পেসএক্স যাতে বুস্টারটি অন্য কোনো উৎক্ষেপণে পুনর্ব্যবহার করা যায়।
নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেওয়া পোস্টে স্পেসএক্স বলেছে, রকেটের নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে এর সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার আপগ্রেড করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, উৎক্ষেপণের শেষ পর্যায়ে রকেটের টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়াতে বেশ কিছু কারিগরি পরিবর্তনও আনা হয়েছে এতে।
“স্টারশিপের চতুর্থ উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টার লক্ষ্য, আমাদের দ্রুত পুনঃব্যবহারযোগ্য ভবিষ্যতের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া, ” বলেছে স্পেসএক্স।
“আমরা স্টারশিপের দ্রুত বিকাশ চালিয়ে যাচ্ছি, যেখানে বিভিন্ন হার্ডওয়্যারকে এমন এক পরিবেশে রাখা হয়েছে, যার মাধ্যমে পৃথিবীর কক্ষপথ, চাঁদ, মঙ্গল এমনকি এর চেয়েও দূরে যাত্রীবাহী পুনর্ব্যবহারযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা তৈরির বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব, শেখা যাবে।”