সাইবার গুপ্তচরমূলক কাজ বিভিন্ন অপরাধী দলের কাছে সম্ভবত ‘আউটসোর্স’ করেছে রাশিয়া। বিশেষ করে, ইউক্রেইনের বেলায় এমন করতে পারে দেশটি।
Published : 16 Oct 2024, 03:36 PM
প্রতিদিন ৬০ কোটিরও বেশি সাইবার হামলার স্বীকার হন মাইক্রোসফট ব্যবহারকারীরা, যার কিছু অংশের পেছনে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করা সাইবার অপরাধ চক্র বলে দাবি কোম্পানিটির।
এ বছরের ‘ডিজিটাল ডিফেন্স’ রিপোর্টে মাইক্রোসফট বলেছে, এআই নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরুর পাশাপাশি গত বছর যেভাবে কাজ করেছে সেই কাজের কৌশলও বদলেছে রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলো।
“এই ক্ষতিকর সাইবার কার্যক্রমের জোয়ার ঠেকাতে আমাদের অবশ্যই উপায় খুঁজে বের করতে হবে,” বলেছেন মাইক্রোসফটের ভাইস প্রেসিডেন্ট টম বার্ট, যিনি কোম্পানিটির ‘কাস্টমার সিকিউরিটি অ্যান্ড ট্রাস্ট’ বিভাগের দায়িত্বে আছেন।
“আমাদের কাজের মধ্যে আমাদের নেটওয়ার্ক, ডেটা ও সব ধরনের মানুষকে সুরক্ষিত রাখা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ডিজিটাল ডোমেইন আরও সুরক্ষিত করার কাজ অব্যাহত রাখা।”
ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের কিছু সাইবার গুপ্তচরমূলক কাজ বিভিন্ন অপরাধী দলের কাছে ‘আউটসোর্স’ করেছে রাশিয়া। বিশেষ করে, ইউক্রেইনে গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে এমনটি করতে পারে দেশটি। ফলে, এই জুনে কমপক্ষে ৫০টি ইউক্রেইনীয় সামরিক ডিভাইসে সফল সাইবার আক্রমণ করতে সক্ষম হয়েছে এক সন্দেহভাজন সাইবার অপরাধ চক্র।
‘ফেইকপেনি’ নামের এক নতুন র্যানসমওয়্যার প্রযুক্তি তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া, যেটিকে প্রতিরক্ষা ও বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে বলে দাবি মাইক্রোসফটের।
এদিকে, ‘ইসরায়েলের উপর অনেক বেশি নজর রাখছে’ ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বিরুদ্ধে ইসরায়েলি ডেটিং সাইটে হ্যাকিং চালানোর অভিযোগও রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।
গত বছর গোটা বিশ্বে র্যানসমওয়্যার আক্রমণের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি, যেখানে ব্যবহারকারীদের তথ্য হ্যাকিংয়ে ইমেইল, এসএমএস ও ভয়েস স্ক্যাম ব্যবহার করেছে হ্যাকাররা।
গত বছর বিভিন্ন সাইবার হামলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ব্যবহারও বেড়েছে। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সাইবার অপরাধীরা এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি কনটেন্ট ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের প্রতারিত করার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
“তবে এখনও পর্যন্ত এই কনটেন্ট ব্যবহারকারীদের প্রভাবিত করতে পেরেছে এমন নজির নেই,” বলেন বার্ট।