বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে সাবেক বিএনপি নেতা সরকার বাদলের মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট।
সরকার বাদল বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ১৬ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছিলাম। আজ শুনানি শেষে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
“জাবেদা নকল উঠাতে সময় লাগবে; আইনজীবীর সার্টিফিকেট নিয়ে বগুড়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং নির্বাচন অফিসে মেইল করে পাঠিয়েছি।”
হলফনামায় দেওয়া তথ্যে নানা রকম গড়মিল থাকায় এ আসনের ৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল।
ইতোমধ্যে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম হাই কোর্টের আদেশে এবং বিএনপির সাবেক নেতা ও নন্দীগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটার তালিকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। যাচাই করে একাধিক ব্যক্তির সমর্থন না পাওয়ায় কয়েকজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
আদালতের আদেশ পাওয়ার পর সরকার বাদল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটককে বলেন, “এক শতাংশ স্বাক্ষর নেওয়ার বিধান অনৈতিক। এই নিয়ম বাতিল করা হোক। যদি এই নিয়ম চালু থাকে তবে দলীয় প্রার্থীদেরও একই নিয়মে আনা হোক।”
তিনি বলেন, “এখন সবাই ভোটের মাঠে, আর আমি ঢাকায়। নির্বাচন কমিশন আমায় প্রচারণা থেকে দূরে রাখল। হাই কোর্ট যেটা করেছে তা বগুড়া নির্বাচন অফিস কিংবা নির্বাচন কমিশনও করতে পারত; কিন্তু কী কারণে করেনি জানি না। মোট কথা হয়রানির শিকার হয়েছি।”
বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্যসহ বিএনপির ছয়জন পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে একজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রয়েছেন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: