বগুড়ার দুই আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের পর প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত কন্টেট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
মঙ্গলবার আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে ইসির আইন শাখায় আপিল আবেদন জমা দেন তিনি।
১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় ‘গরমিল’ পাওয়ার কথা জানিয়ে গত রোববার বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাতিলের তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার সুযোগ আছে।
হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, “কাগজপত্রসহ আমি আপিল আবেদন জমা দিয়েছি। বৃহস্পতিবার শুনানি হবে। এখান থেকে বাতিল করলে আমি আবার হাই কোর্টে যাব। দুই আসন থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেলে দুটি আসন থেকেই ভোট করব।”
সম্প্রতি বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে ছয় আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বগুড়া-৪ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চেয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু জাতীয় পার্টি তাকে মনোনয়ন দেয়নি। পরে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলে দুই দফায় যাচাই-বাছাই করার পর তার সেই মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
হিরো আলম তখন হাই কোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান হিরো।
গত বুধবার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “বিগত নির্বাচনেও একই ভুলে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। উচ্চ আদালতে আপিল করে আবার নির্বাচন করার সুযোগ পাই। গতবারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। এবার সেই ভুল হওয়ার কথা না।
“আমার মনে হয়, দুটি আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল করার মধ্যে কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। কারণ আমার একার নয়, আরও অনেকে মনোনয়নপত্র একই কারণে বাতিল করা হয়েছে।”
বগুড়ার ওই দুটি আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে মোট ২২ জনের মধ্যে ১১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনের পাঁচজন এবং বগুড়া-৬ আসনের ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন।
বগুড়ার কেবল অপারেটর আশরাফুল আলম নিজের মতো করে গান গেয়ে ও মিউজিক ভিডিও তৈরি করে সোশাল মিডিয়ায় তুলে দেশ এবং দেশের বাইরেও এখন পরিচিত।
গতবছর তিনি রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। তারপর পুলিশ তাকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করে। তা নিয়েও সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।