হাই কোর্টে গিয়ে বগুড়ার দুটি আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম; তিনি বলেছেন, আদালত ‘ন্যায়বিচার’ দিয়েছে, এখন তিনি সিংহ মার্কায় ভোট করতে চান।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৫(সদর) আসনে তার মনোনয়নপত্র বাতিলের যে সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তারা দিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডও তা বহাল রাখে। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই হিরো আলম হাই কোর্টে গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার সেই রিট মামলার শুনানি শেষে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ।
হিরো আলমের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী কাজী রেজাউল হোসেন এবং ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম আজাদ।
হাই কোর্টের এ আদেশের ফলে হিরো আলমের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আইনগত আর কোনো বাধা নেই বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম।
প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, আদালতে ‘সুবিচার’ পাবেন বলে আশা করেছিলেন, তাই পেয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ন্যায়বিচার পেয়েছি, যা প্রত্যাশা করেছিলাম। মাঝ পথে শুধু হয়রানি এবং সময় ক্ষেপণ হল।”
হিরো আলম জানালেন, তিনি সিংহ মার্কা নিয়ে ভোট করতে চান। মঙ্গলবারই তিনি ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বগুড়ায় নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছাবেন।
এর আগে ২০১৮ সালেও হিরো আলম বগুড়া-৪ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছিলেন। সম্প্রতি বিএনপির সংসদ সদস্য পদত্যাগের পর নতুন করে বগুড়ার দুটি আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
হিরো আলমের দাবি, ‘ভোটারদের চাওয়ায়’ এবার তিনি দুটি আসন থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু ‘প্রার্থীদের দেওয়া এক শতাংশ ভোটার তালিকা যাচাই করে একাধিক ব্যক্তির সমর্থনের সত্যতা পাওয়া যায়নি’ বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা দুটি আসনেই তার মনোনয়ন বাতিল করে দেন।
পরে তিনি ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। সেই আবেদনও নাকচ হয়ে গেলে আদালতে আসেন হিরো আলম।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ভোট হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি।
বগুড়ার কেবল অপারেটর আশরাফুল আলম নিজের মতো করে গান গেয়ে ও মিউজিক ভিডিও তৈরি করে সোশাল মিডিয়ায় তুলে দেশ এবং দেশের বাইরেও এখন পরিচিত।
তিনি রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। তারপর পুলিশ তাকে ডেকে নিয়ে সতর্ক করে। তা নিয়েও সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
পুরনো খবর