সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে দিয়েছে আদালত।
সিলেট মহানগর হাকিম শারমিন খানম নীলা সোমবার এ আদেশ দেয় বলে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান।
আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশ সাত দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করলে আদালত পাঁচদিন মঞ্জুর করেছে।
রিমান্ডে দেওয়া আসামিরা হলেন মামলার ৪ নম্বার আসামি সিলেট নগরের বাদামবাগিচার মিশু (২৬) ও ৬ নম্বর আসামি বড়বাজারের গোয়াইপাড়ার মনা (২৫) ও একই এলাকার বাসিন্দা ৫ নম্বর আসামি কুটি মিয়া (২৪)।
৬ নভেম্বর রাতে সিলেট নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল। তিনি সিলেট ল কলেজের সাবেক জিএস ছিলেন।
ঘটনার দুদিন পর তার ভাই ময়নুল হক বাদী হয়ে দশ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করে নগরীর বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজির আজিজুর রহমান সম্রাট (৩৫), মো. হাফিজ (২৫), নগরের আম্বরখানা বড়বাজারের শাকিল আহমদ (৩৫), বিশ্বনাথের আব্দুল আহাদ (৬০), খাদিম দাসপাড়ার মৃতুঞ্জয় বিশ্বাস (২৮), সিলেট সদর উপজেলার রায়েরগাঁওয়ের আশরাফ সিদ্দিকী (৩৭) ও লালারগাঁওয়ের রুহুল আমিন শাওন (২২)।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কামাল সিলেট বিমানবন্দর এলাকা থেকে আম্বরখানা বড়বাজার হয়ে গোয়াইটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। তার গাড়িকে অনুসরণ করছিল দুটি মোটরসাইকেল। বড়বাজারের ১১৮ নম্বর বাসার সামনে কামালের গাড়ির গতিরোধ করে তাকে গাড়ি থেকে নামায় একদল লোক। পরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহারে নিহতের ভাই মইনুল হক অভিযোগ করেন, আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে তাদের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে লাহিন আহমদের লাহিনের এয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর আসামিরা সেখানে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ভাঙচুর চালাতে নিষেধ করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। আসামিরা সেদিন প্রকাশ্যে কামালকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এর জেরে ধরে ৬ নভেম্বর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে তার অভিযোগ।
আরও পড়ুন: