“তিনি যা জানেন সেগুলো আমাদের বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সেগুলো বলা সম্ভব হচ্ছে না।”
Published : 22 Mar 2024, 05:44 PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় তিনিসহ পাঁচ সদস্য অবন্তিকার বাসায় যান।
তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- সদস্য সচিব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অ্যাডভোকেট রঞ্জন কুমার দাস, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এসএম মাসুম বিল্যাহ ও সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ।
তারা অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম শবনম এবং ছোট ভাই জারিফ জাওয়াদ অপূর্বসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
অবন্তিকার বাসা থেকে বেরিয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত করতে আমরা কুমিল্লায় এসেছি। আড়াই ঘণ্টা ধরে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি।
“তিনি যা জানেন সেগুলো আমাদের বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সেগুলো বলা সম্ভব হচ্ছে না।”
তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে, সে বিষয়ে জাকির হোসেন নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
তদন্ত কমিটির সঙ্গে কী কথা হয়েছে, জানতে চাইলে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, “আমার কাছে যা জানতে চেয়েছে আমি তদন্ত দলকে সব বলেছি। তারা আমাকে ও আমার ছেলেকে সান্ত্বনা দিয়েছে। আমরা এখন জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তাহমিনা শবনম আক্ষেপের সুরে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন যতটা আন্তরিক, আগে এতটা হলে হয়তো, মেয়েকে হারাতে হত না।”
এদিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় কারাগারে থাকা দুই আসামি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান আম্মান সিদ্দিকীর সঙ্গেও কারাগারে দেখা করে কথা বলেছেন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “জবির তদন্ত কমিটির সদস্যরা সাড়ে ৩টার দিকে কারাগারে আসেন। তারা কারাবিধি মেনে অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় কারাগারে থাকা দুই আসামির সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।”
গত ১৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকার বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে নিজের ফেইসবুক আইডিতে তার এমন মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন দুইজনকে। তারা হলেন-সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।
ঘটনার পরদিন রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে বহিষ্কার ও দ্বীন ইসলামকে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে দ্বীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তারা দুজনেই বর্তমানে কারাগারে আছেন।
রঙ-তুলির আঁচড়ে জগন্নাথে অবন্তিকা-অংকনকে স্মরণ
অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে সহপাঠী আম্মান
অবন্তিকার আত্মহত্যা: আম্মান ও দ্বীন রিমান্ডে
অবন্তিকার মৃত্যু: সহপাঠী আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন গ্রেপ্তার
অবন্তিকার মৃত্যু: সহপাঠী, শিক্ষককে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
চিরনিদ্রায় বাবাকে পাশে পেলেন অবন্তিকা
কার কাছে বিচার দেব, অবন্তিকার মায়ের বিলাপ
অবন্তিকার পরিবার মামলা করলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ: জবি
শিক্ষক-সহপাঠীকে ‘দায়ী করে’ জগন্নাথ ছাত্রীর আত্মহত্যা
অবন্তিকার সহপাঠী ও সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা