সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আহমেদ সাইদ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত বক্তব্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
Published : 31 Dec 2023, 05:55 PM
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ‘অশোভন ভাষায়’ আক্রমণ করায় বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে আবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
শনিবার পাঠানো এ চিঠিতে কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আহমেদ সাইদ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত বক্তব্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রচার ও বক্তব্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ১১ ডিসেম্বর শম্ভুসহ বরগুনার ৯ আওয়ামী লীগ নেতাকে শোকজ করেছিল নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ১৬ ডিসেম্বর শম্ভুসহ পাঁচ নেতাকে জরিমানার সুপারিশ করে ইসিতে প্রতিবেদন পাঠায় কমিটি।
২৮ ডিসেম্বর ইসিতে উপস্থিত হয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে অভিযোগ থেকে নিস্তার পান ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
এর মধ্যে আবার তাকে শোকজ করল নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রচার সভায় ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমালোচনা করে ‘ইবলিস’, ‘ইডিয়ট’, ‘মোনাফেক’, ‘শয়তান’ বলে মন্তব্য করেন।
শম্ভু তার সেদিনের বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেন, “উন্নয়ন হয় নাই এই যে কথাটা বলে, এটি মুনাফেকি কথা। ইবলিসরা এইভাবে কথা বলে। আমি দুঃখিত এইভাবে কথা বলায়। ইবলিসটা আল্লাহর ভাষা, আর আমাদের ভাষা হল শয়তান। আমি আল্লাহর ভাষায় ইবলিস বলব। এই ইবলিসদের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।
“এটা কেমন কথা, উন্নয়ন হয় নাই নাকি। আমরা কি ভাইস্যা আইছি নাকি? ভোট একেবারে চাইলেই দিয়ে দেবে। এই এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে, অনেক রাস্তাঘাট, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন হয়েছে। সাবরেজিস্ট্রি অফিসও হবে।”
তার এই বক্তব্য নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর বিভিন্ন সাংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, এমন মন্তব্য করে শম্ভু নির্বাচনি আচরণবিধি ২০০৮-এর ১১ (ক) লঙ্ঘন করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে নৌকার প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী মজিবুল হক কিসলু বলেন, “প্রার্থীর পক্ষে আমি যথাসময়ে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত জবাব দাখিল করব।”