ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের মধ্যে নিহত জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে রাতে তার লাশ ভোলা এসে পৌঁছায়। চরনোয়াবাদ এলাকায় আলতাজের রহমান কলেজ মাঠে রাত ১০টায় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রোববার ভোলা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে আব্দুর রহীম নিহত হন। আহত হয় পুলিশসহ অর্ধ শতাধিক।
আহত জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলম বুধবার বিকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, নুরে আলম এর লাশ ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এলে হাজারো নেতা-কর্মী তাকে এক নজর দেখার জন্য রাস্তার দুপাশে অবস্থান নেয়। অতপর ভেদুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে শতাধিক মোটরসাইকেলের বিশাল গাড়িবহর এবং বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ-সংগঠনের প্রায় ৫-৬ হাজার নেতা-কর্মীর সমন্বয়ে লাশবাহী গাড়ি ভোলায় আনা হয়।
নুরে আলমের লাশবাহী গাড়ি ইলিশা বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাজার, বাংলা স্কুল মোড় হয়ে বিএনপি অফিসের সামনে গিয়ে থামে।
এ সময় তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখন সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তার লাশ নেওয়া হয় বাড়িতে। সেখানে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। আলতাজের রহমান কলেজ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
কলেজ মাঠে আগ থেকে অবস্থান নেয় বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ-সংগঠন এবং আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় ৮-১০ হাজার মানুষ।
জানাজা শুরু আগে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল, নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: