তিন দিন আগে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গুরুতর আহত আলমকে রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। বুধবার বিকাল ৩টায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।
সন্ধ্যা ৬টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নূরে আলমের জানাজা হবে বলে বিএনপি দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে নূরে আলমের মৃত্যুর খবরে বৃহস্পতিবার ভোলায় হরতাল ডেকেছে বিএনপি। জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর জানান, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় এই হরতাল হবে।
বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং জ্বালানি খাতে ‘অব্যবস্থাপনার’ প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার জেলা সদরেও বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ছিল। সেদিন নেতা-কর্মীরা জেলা কার্যালয়ে সমাবেশ করে মিছিলের প্রস্তুতি নিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বাঁধে।
সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল রহিম। ওই ঘটনায় নুরে আলমের মাথায় গুলি লাগে। পরে তাকে ভোলা থেকে ঢাকায় নিয়ে এসে কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার মৃত্যুর খবরে বুধবার বিকালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ঢাকার নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছে। ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষের ওই ঘটনায় বিএনপির চার শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পুলিশ।