ভোলায় সংঘর্ষ: পুলিশের ২ মামলায় আসামি ৪০০

বিএনপির পক্ষ থেকে পাল্টা আরেকটি মামালার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে দলটির এক নেতা জানান।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2022, 07:06 AM
Updated : 1 August 2022, 07:06 AM

ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের মধ্যে একজন নিহত এবং অন্তত অর্ধশত আহতের ঘটনায় বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পুলিশ।

রোববার রাতে ভোলা সদর মডেল থানার এসআই মো. জসিম বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদ সরদার জানান।

তিনি বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একটি এবং সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম হত্যার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যানসহ বিএনপির চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করেছে পুলিশ।

আসামিদের মধ্যে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর ৩৫০ জন অজ্ঞাত পরিচয়। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান ফরহাদ।

এর আগে রোববার দুপুরে জেলা সদরের মহাজনপট্টিতে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে একজন নিহত ও অন্তত অর্ধশত আহত হয়।

লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান।

Also Read: ভোলায় পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষ, নিহত ১

এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

নিহত আবদুর রহীম স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী বলে বিএনপি নেতারা জানান। তাদের অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে রহীম নিহত হয়েছেন।

ঘটনার পর ১১ জনকে আটকের কথা জানায় পুলিশ। দুপুরে শহরের মহাজনপট্টির বাসভবনে জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে ঘটনার বিবরণ দেন।

সেখানে তিনি ভোলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশ’ অশান্ত করার অভিযোগ তোলেন পুলিশের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, “সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গুলি, টিআর সেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহীম মারা যায়।

“হামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।”

আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে বরিশাল ও ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেন জানান তিনি। তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।

তবে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদ সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে এ ঘটনার জন্য বিএনপিকেই পাল্টা দায়ী করেছেন।

পুলিশের এ কর্মকর্তার ভাষ্য, “সমাবেশ শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু সমাবেশ শেষে মিছিল করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে পড়েন। তখন তারা পুলিশের উপর হামলা করেন।”

এদিকে সেচ্চাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকেও পাল্টা মামালা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জেলা বিএনপি নেতা গোলাম নবী জানান।