ভোলায় ‘পুলিশের গুলিতে’ দলের একজন নিহতের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। কমিটির সদস্যরা ভোলায় গিয়ে পরিস্থিতি জানবেন।
মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে প্রধান করে ১২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবেদীন, সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, যুবদলের মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
রোববার লোড শেডিংসহ জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচিতে পুলিশ অতর্কিত হামলা ও গুলিবর্ষণ করলে স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় নেতা আবদুর রহীম নিহত এবং অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়।
কমিটির আহ্বায়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আমরা ভোলা গিয়ে আহত ও নিহত নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করব। তাদের কাছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহমর্মিতা জানাব। ঘটনার বিষয়ে সরেজমিনে মানুষের কাছ থেকে তথ্যাদি শুনব।”
এদিকে, পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে স্বীকার করলেও ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাম্মদ ফরহাদ সরদার দাবি করেন, রহীমের মৃত্যু হয় ইটের আঘাতে।