কুমিল্লা সিটি ভোট: সাক্কুর উঠান বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর

স্থানীয় কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতাদের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থীর।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2024, 04:51 PM
Updated : 1 March 2024, 04:51 PM

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর উঠান বৈঠকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতাদের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সাক্কুর।

শুক্রবার বিকালে নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গদারমার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন।

সাক্কুর কর্মী-সমর্থকরা অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যা ৬টায় গদারমার কলোনিতে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য সেখানে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

বিকাল ৫টার দিকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় বেশকিছু চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।

কাউন্সিলর সাইফুল এক সময় বিএনপির রাজনীতি করতেন; পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন বলে জানান এলাকাবাসী।

সিটি নির্বাচনে তিনি বাস প্রতীকের প্রার্থী কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনার পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

সাবেক মেয়র সাক্কু বলেন, “উঠান বৈঠক শুরুর আগে কাউন্সিলর সাইফুলের নেতৃত্বে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। বৈঠক করতে না দেওয়ার পাশাপাশি প্রচার না চালাতেও আমার নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন তারা।”

টেবিল ঘড়ির বিজয় সুনিশ্চিত জেনে বাস প্রতীকের সমর্থকরা উঠান বৈঠক পণ্ড করে দিয়েছে বলে দাবি মেয়র প্রার্থী সাক্কুর।

হামলার বিষয়ে কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিল বলেন, “ভাঙচুরের সময় আমি তাহসিন বাহার সূচনার প্রচারে ছিলাম। তখন জানতে পারি, সাক্কু ও কায়সারের সমর্থকদের মধ্যে সেখানে মারামারি হয়েছে। আমি এই হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নই।

কাউন্সিলর বলেন, “আমি দীর্ঘ সময় সাক্কুর সঙ্গে থেকে বিএনপির রাজনীতি করেছি। এ কারণে আমার এলাকার লোকজন উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। ১৫ দিন আগে আমি সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহারের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি। এখন আমি সূচনার পক্ষে মাঠে রয়েছি।”

এ কারণেই সাক্কু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন বলে মন্তব্য করেন কাউন্সিলর সাইফুল।  

কোতোয়ালি থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।”

৯ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে। এতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুজন এবং সাক্কুসহ বিএনপির সাবেক দুজন নেতা লড়ছেন। 

আরও পড়ুন:

কুমিল্লা সিটির উপনির্বাচন: কায়সারকে কারণ দর্শানোর নোটিস

‘পরিবর্তনের ইতিহাস রচনা’ করতে চান কায়সার-তানিম

‘নতুন অধ্যায়’ গড়তে চান সূচনা, আরেকবার সুযোগ চান সাক্কু

কুমিল্লা সিটির উপনির্বাচন: প্রতীক নিয়ে মাঠে চার প্রার্থী

কুমিল্লা সিটি উপনির্বাচন: সূচনা ছাড়া সবারই অভিযোগ

২০০৮ সালের পর কারা জমি কিনেছেন সেই তালিকা দেখুন: সাক্কুর স্ত্রী