কুমিল্লা সিটি ভোটে মেয়র প্রার্থী সাক্কু ২০০৩ সালের পর কোনো জমি কেনেননি বলে দাবি তার স্ত্রীর।
Published : 27 Feb 2024, 11:07 PM
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অন্য প্রার্থীদের ওপর চটেছেন মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর স্ত্রী।
২০০৮ সালের পর কারা জমি কিনেছেন, অন্য প্রার্থীদের সেই তালিকা দেখতে বললেন সাবেক মেয়র সাক্কুর স্ত্রী আফরোজা জেসমিন টিকলি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের থিরা পুকুরপাড়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের উঠান বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী ৯ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাবেক মেয়র সাক্কুসহ চারজন প্রার্থী লড়ছেন।
আফরোজা জেসমিন বলেন, “সাক্কু ২০০৫ সালে কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালের পর তিনি কোনো জমি ক্রয় করেননি। ২০০৫ সালের পূর্বে তিনি প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন। তারা বাবা এমএলএ ছিলেন। সাক্কু দরিদ্র পরিবারের সন্তান না।
“যারা ৭৮ ফ্ল্যাট নিয়ে প্রশ্ন করেন, তারা অনুসন্ধান করে দেখেন- এটি ১৯৪৭ সালের দলিল। আর সম্পত্তির মালিক আমার শ্বশুর। সাক্কুর সকল ভাই বোনসহ এম আর সি ডেভেলপারদের মিলে ৭৮টি ফ্ল্যাট। তার কোনো অবৈধ সম্পত্তি আছে কিনা? সাক্কু দুর্নীতি করলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন।”
তিনি বলেন, “যারা সাক্কুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে, এসব প্রশ্ন তোলেন তারা ২০০৮ সালের পূর্বে কী ছিল? আট সালের পর কারা জমি কিনেছে সেই লিস্ট নেন। ২০০৩ সালের পর সমাজ সেবার জন্য আমরা কতটা বিক্রি করেছি, সেটারও লিস্ট নেন।”
উঠান বৈঠকে মনিরুল হক সাক্কুর তিন বোন উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষ ২০২২ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) তৃতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে ১৮ ডিসেম্বর মেয়রের পদ শূন্য হয়।
পরে ২২ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন:
কুমিল্লা সিটির উপনির্বাচন: কায়সারকে কারণ দর্শানোর নোটিস
‘পরিবর্তনের ইতিহাস রচনা’ করতে চান কায়সার-তানিম